গনোরিয়া ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

Gonorrhea & homoeopathic treatment with Important medicine.

🍀Complete Solution

🍀Date:28/07/2018


 গনোরিয়া একটি যৌনবাহিত রোগ।Neisseria gonorrhoeae  (নিশেরিয়া গনোরি) নামক জীবাণু এই রোগের জন্য দায়ী। পুরুষের ক্ষেত্রে সাধারণত প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া (ডিজইউরিয়া) ও মূত্রনালি দিয়ে পূয বের হয়। স্ত্রীলোকের ক্ষেত্রে অনেক সময় কোনো লক্ষণ থাকে না আবার কারো ক্ষেত্রে যোনিপথে পূজ বের হয় এবং তলপেটে ব্যথা হতে পারে। সময়মত এই রোগের চিকিৎসা না করালে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই এই রোগ আশেপাশে ছড়িয়ে যেতে পারে এবং পুরুষের এপিডিডাইমিস ও মহিলার তলপেটে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। গনোরিয়া সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে, এমনকি এটি শরীরের অস্থিসন্ধিসমূহ ও হার্টের ভালবকেও আক্রান্ত করতে পারে।


🌽বিস্তার :-

যৌনমিলনের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে আরেকজনের দেহে এই রোগের জীবাণু ছড়ায়। এটা যোনিপথ, মুখগহ্বর বা পায়ুপথ যে কোনো পথেই ছড়াতে পারে। গনোরিয়ায় আক্রান্ত মহিলার সাথে একবার যৌনকর্ম করলে পুরুষলোকের এই রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ২০%, তবে সমকামী পুরুষের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও অনেক বেশি।আক্রান্ত পুরুষের সাথে একবার যৌনমিলনে একজন মহিলার এই রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি প্রায় ৬০-৮০%।


বাচ্চা জন্মদানের সময় গনোরিয়ায় আক্রান্ত মায়ের শরীর থেকে এই রোগের জীবাণু বাচ্চাকে আক্রান্ত করতে পারে।এটি যখন বাচ্চার চোখকে আক্রান্ত করে তখন তাকে অফথালমিয়া নিওন্যাটোরাম বা নিওন্যাটাল কনজাংটিভাইটিস বলে।


🌽প্রতিরোধ:-

বহুগামিতা পরিত্যাগ ও সঠিক পদ্ধতিতে কনডম ব্যবহারের মাধ্যমে এই রোগ সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

 🌷বিঃদ্রঃ-কোন অবস্থাতেই  অসুখটি তৃতীয়বার যাতে আর সংক্রামিত না হয়  সে দিকে খেয়াল রাখবেন , কেননা অসুখটি তৃতীয় স্থরে চলে গেলে স্থায়ী বন্ধ্যাত্ব সহ ক্যানসার অথবা শরীরের  অন্যান্য  মারাত্মক ব্যাধি সহ যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হওয়া অসম্ভব কিছু নয়।


🌽হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ-প্রাকৃতিক, বিশুদ্ধ ও নিরাপদ চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে হোমিওপ্যাথি। 

হোমিওপ্যাথিতে গনোরিয়া সম্পূর্ন ভাল হয়।

গনোরিয়ার বিভিন্ন স্তরে লক্ষন সাদৃশ্যে বিভিন্ন ঔষধ আসতে পারে।পর্যাক্রম:-


💻ফাষ্ট গ্রেডঃ -

🎯ক্যানাবিস স্যাট

🎯মেডোরিনাম

🎯থুজা


💻সেকেন্ড গ্রেডঃ-

🎯হাইড্রাস্টিস

🎯ক্যালি বাই

🎯মার্ক কর

🎯এসিড নাইট্রিক

🎯পেট্রোলিয়াম

🎯এসিড নাইট্রিক

🎯এসিড ফু্লরিক

🎯মার্কসল

🎯সাইলিশিয়া

🎯আর্জেন্ট মেট

🎯আর্জেন্ট নাইট্রিকাম

🎯মেজোরিয়াম

🎯সালফার

🎯এসিড ফম

🎯ক্যান্থারিস

🎯কোপাইভা

🎯সিনেবেরিস

🎯কিউবেবা অফিসিনালিস

🎯পালসেটিলা

🎯ক্যাপসিকাম

🎯ক্লিমেটিস

🎯জেলসেমিয়াম


💻থার্ড গ্রেডঃ-

🎯এগ্নাস কাস্ট

🎯স্যাবাল সেরু

🎯এসিড বেঞ্জায়িক

🎯হিসার সালফ

🎯ক্রিয়োজুট

🎯এপিস মেল

🎯ক্যালি সালফ

🎯জিঙ্ক

🎯স্যাবাইনা

🎯টেলুরিয়াম

🎯এলুমেন

🎯ন্যাট্রাম সালফ


এ অংশে আমরা ফাস্ট গ্রেড ঔষধগুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ননা দেওয়ার চেষ্টা করব।বাকিগুলো হোমিওপ্যাথিক টিপস পেজ প্রিভিউর মাধ্যমে ষ্ট্যাডি করা সম্ভব।

💻ফাষ্ট গ্রেডঃ -ফাস্ট গ্রেড ঔষধগুলোর সংক্ষেপে মানষিক লক্ষনসমূহ:-


🎯ক্যানাবিস স্যাট:-

ইহার বিশেষ অনুভূতি লক্ষণ যেন ফোঁটা ফোঁটা জল পরিতেছে। অতিরিক্ত পরিশ্রম করার ন্যায় ক্লান্ত ভাব। আহারের পর ক্লান্ত হইয়া পড়ে।

ভীষণ কোষ্ঠবদ্ধতার সহিত প্রস্রাব বন্ধ। আঙুল মচকাইবার পর আঙুল খেঁচিয়া থাকা। সিড়িতে উঠিতে গিয়া হাটুর প্যাটেলার স্থানচ্যুতি। গিলিবার সময় শ্বাসকষ্ট, খাদ্যবস্তু শ্বাসনলীপথে প্রবেশ করা।প্রমেহর তরুণ ও প্রাদাহিক অবস্থা । মূত্রনলীর বেদনা হেতু পা ফাঁক করিয়া চলা। যন্ত্রনাদায়ক লিঙ্গোদ্গম। শ্লেষ্মা বা পূঁজে মূত্রনলী বন্ধ। চক্ষে কুয়াসা মত দর্শন। ছোট বালিকাদের শ্বেতপ্রদর। মূত্র নলীতে ভয়ানক যন্ত্রনা, জ্বালা, কামড়ানো, নালীমূখ হইতে পশ্চাতে যায়, বিশেষত মূত্র ত্যাগের সময়। অশ্রুবিদারক বেদনা মূত্রনলীর মধ্যে আঁকাবাকা ভাবে যায়। কথা বাধিয়া যায়। চিন্তা এবং বাক্য গুলাইয়া যায়। অসংলগ্ন ভাবে দ্রুত কথা বলে। শয্যাভীতি। শিরঃঘূর্ণন। নাকের গোড়ায় চাপবোধ। সুরাপান জনিত স্নায়বিক দুর্ব্বলতা । ধূমপানের ফলে চক্ষুছানি। কয়েকধারে বিভক্ত হইয়া মূত্রপাত। মূত্রপথে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মাংসল গাঁজ জন্মে। অত্যধিক দৈহিকশক্তি ব্যবহার হেতু স্বল্পঋতু। ভীতিপদ স্বপ্ন। পায়ের ডিমে ও বৃদ্ধাঙ্গুলের তলদেশের পীড়া। সিঁড়িদিয়া উপরে উঠিলে ও শয়নে রোগের বৃদ্ধি ।


🎯মেডোরিনাম:-বংশগত সাইকোসিসের পরিচয়।সবসময় গরমবোধ, বরফ খাইবার ইচ্ছা। 

মেডোরিনাম ঔষধটাকে অন্য নামে বলা হয় দ্য গনোরিয়্যাল ভাইরাস। 

মেডোর রোগী চুলকানির কথা চিন্তা করলে বৃদ্ধি ও রাএিকালীন বৃদ্ধি। 

মেডোতে মেজাজ দিনের বেলায় খিটখিটে, কিন্তুু রাএিতে বেশ প্রফুল্ল। এবং সারা শরীরে পোকা হাঁটার অনুভূতি।


🎯হোমিওপ্যাথিক টিপস

হেল্পলাইন 01955507911

No comments:

Post a Comment