কোমরের ব্যথার কারণ, প্রতিকার ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

Backache Cause, Prevention and Homeopathic treatment 

👥Date 12/11/2018


⛳⛳⛳⛳⛳⛳⛳⛳⛳⛳⛳⛳⛳⛳

এটি প্রতীয়মান যে বাংলাদেশে শতকরা ৮০ জন মানুষ কোন না কোনভাবে কোমরের ব্যথায় ভোগেন । এ ব্যথা সাধারণত কোমরের ঠিক মাঝখানে বেশি অনুভূত হয় । কোন কোন সময় এ ব্যথা কোমরের ডানে বা বামে সরে যায় । আবার কারো কারো এ ব্যথা পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত পৌছে । সকাল বেলা বিছানা থেকে প্রথম উঠবার সময় সমস্ত কোমরে আড়ষ্ট ভাব থাকে এবং একটু নড়াচড়া করার পর ধীরে ধীরে ব্যথা কমে যায় । নারী -পুরুষ ঊভয়কেই এ সমস্যায় ভুগতে দেখা যায় । এটি অত্যন্ত কষ্টকর একটি রোগ ।


👥এর কারণ ও প্রতিকার সম্বন্ধে নিচে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলঃ-


🍀ব্যথার কারণঃ-

কোমরের ব্যথার নানাবিধ কারণ রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলোঃ

*হাড়ের রোগ

*মেরুদন্ডের কশেরুকার মাঝখানের ডিস্কের ডিজেনারেশন বা ক্ষয়প্রাপ্তি

*ত্রুটিপুর্ণ দৈহিক গঠন

*যে কোনভাবে আঘাত বা ঝাঁকুনি প্রাপ্তি

*অপ্রত্যাশিত ওজন বৃদ্ধি

*অধিক সময় ধরে একনাগাড়ে বসে থাকা বা দাড়িয়ে থাকা

*বেশি বেশি যান বাহনে ভ্রমন করা

*নরমাল বিছানায় শোয়া

*মোভিং(রিভল্ভিং) চেয়ারে বসা

*উঁচু হিলের জুতা পরা

*ঠান্ডা ও স্যাতস্যাতে জায়গায় বাস করা

*অধিক সময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে অবস্থান করা

*অপরিমিত রতিক্রিয়া

*বিশৃঙ্খল জীবন যাপন করা

*কোন ভারি জিনিস হাতে ঝুলিয়ে বহন বা উত্তোলন করা ।


🍀প্রতিকারঃ-

*পরিকল্পিত ও পরিমিত মৃদু ব্যায়াম করা

*ওজন নিয়ন্ত্রণে এবং প্রয়োজনে ওজন হ্রাস করা

*ব্যথার স্থানে কুশুম গরম পানি ঢালা

*মেরুদন্ড সোজা করে বসার অভ্যাস করা

*কোনকিছু মাটি থেকে তুলতে কোমর বাঁকা না করে হাঁটু ভাঁজ করে তোলা

*অবসর সময়ে বিছানায় আরাম করে শুয়ে হট ওয়াটার ব্যাগ দিয়ে ব্যথার স্থানে স্যাক নেয়া

*একনাগাড়ে অনেক্ষন হাঁটাহাটিঁ না করা

*কর্মস্থলে একনাগাড়ে বসে না থেকে কিছুক্ষন পরপর একটু হালকা হাটাহাটি বা নড়াচড়া করা

*শক্ত বিছানায় ঘুমানোর অভ্যাস করা

*অলিভ অয়েল কুশুম গরম করে ব্যথার স্থানে মৃদুভাবে মালিশ করা

*সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করা

*কোমরে বেল্ট বেঁধে চলা ফেরা করা, যাতে কোনভাবেই কোমরে ঝাঁকুনি না লাগে

*ভরা বালতি বা ভারী বাজারের ব্যাগ হাতে ঝুলিয়ে বহন না করা ।


👥হোমিওপ্যাথিকক চিকিৎসাঃ-কোমরের ব্যথায় সুনির্বাচিত হোমিও ঔষধ বেশ ফলপ্রসু যা বহুল পরিক্ষিত লক্ষণসমষ্টি নির্ণয় করে রোগের হ্রাস-বৃদ্ধি ও ধাতুগত দিক বিবেচনায় রেখে নিম্নলিখিত ওষুধগুলো ব্যবহার করা যেতে পারেঃ-

🍀কস্টিকাম

🍀রাসটক্স

🍀ব্রায়োনিয়া

🍀মেডোরিনাম

🍀সিফিলিনাম

🍀ল্যাকেসিস

🍀লাইকোপডিয়াম

🍀ডালকামারা

🍀রুটা

🍀আর্নিকা

🍀কেলিকার্ব ইত্যাদি।


এ ছাড়াও লক্ষন সাদৃশ্যে আরো মেডিসিন আসতে পারে শুধু মাত্র যে মেডিসিন গুলোর লক্ষন বেশি দেখা যায় সেগুলো দেওয়া হয়েছে।

⛳⛳⛳⛳⛳⛳⛳⛳⛳⛳⛳⛳⛳⛳⛳


🌹সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা

ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা  উচিত নয়।

⛳আপনারা যদি মনে করেন লেখাগুলো আপনার জন্য উপকারি তাহলে আরেক ভাইয়ের জন্যও হয়তো উপকারি হবে , আপনি কষ্ট করে লেখাটি শেয়ার করলে অন্য ভাইও লেখা পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। তাই শেয়ার করুন এবং পেজে লাইক বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন। আর এ জন্য ইনভাইট অপসানে গিয়ে বন্ধুদেরকে পেজ লাইকের ইনভাইট পাঠান।মনে রাখবেন জানার কোন শেষ নেই ।


🌹হোমিওপ্যাথিক টিপস

🌹জার্মান হোমিও কেয়ার

🌹হেল্পলাইন 01955507911

No comments:

Post a Comment