Apis Mel
☘️Date10/11/2018
চোখ দেখলেই চিনবে আমার
নীচের পাতা ফোলা,
ঠান্ডায় উপশম হয়
গরমে বাড়ে জ্বালা।
ক্ষুধা নাই,তৃষ্ণা নাই,
খাওয়ায় কার সাধ্য।
দুধ ছাড়া লাগেনা ভাল,
অন্যকোন খাদ্য।
এই বুঝি মরণ হবে
হলো দম বন্ধ,
মিথ্যা মনে পালিয়ে যাওয়ার
সকল দুয়ার বন্ধ।
কাম ইচ্ছা প্রবল হলে
তীব্র হয় মেজাজ।
হাতের জিনিস খসেপড়ে
এটাই আমার লাজ।
ডিম্বাশয়ে ভারবোধ
জরায়ুতে ফোলা,
মাঝে মাঝে হুলফুটানো
করে ভিষণ জ্বালা।
সবকিছুতে কেঁদে জেতা
এটাই আমার খেল।
উম্মাদ বা বন্ধ্যা হলেও
আমিই এপিস মেল।
সংগৃহীত কাব্যটির মাধ্যমে নিশ্চয় এপিস মেল সম্পর্কে কিছু ধারনা পাওয়া গেছে এবার আসি মূল আলোচনায়।
☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️
🌲উৎস :-জীবিত মৌমাছি ইহার উৎস।
🍁এপিস মেলপ্রস্তুত প্রণালী:-
প্রয়োজনীয় পরিমাণে জীবন্ত মৌমাছি কাঁচের ছিপি বিশিষ্ট পরিষ্কার বোতলে রাখিতে হয়। আটকানো বোতলটিকে ধীরে ধীরে নাড়িয়া মৌমাছিগুলিকে উত্তেজিত করিতে হয়। অল্পপরিমাণে রজঃ বোতলে ঢালিতে হয় এবং ৮ হইতে ১০ দিন পর্যন্ত মৌমাছিগুলিকে জলসিক্ত করিতে হয়। দশ দিন পর সে টিংচার পাওয়া যাইবে তাহা ঢালিয়া ছাঁকিয়া লইতে হইবে। টিংচার ঢালিয়া লওয়ার পর অবশিষ্ট মৌমাছিগুলিকে কখনও চাপ দিতে নাই। ২x শক্তি প্রস্তুত করিতে ১ ভাগ অরিষ্ট, ৪ ভাগ জল ও ৫ ভাগ পরিশ্রুত সুরাসারের প্রয়োজন হয়, ৩x এবং উচ্চ শক্তিতে পরিশ্রুত সুরাসারের প্রয়োজন হয় না।মধুমক্ষির হূলের মধ্যে যে এত মনের কাথা লেখা আছে, তা কে জানত বলুন?
ক্ষত, জ্বালা, শুলব্যথা, ফোলা, অবসন্নতা ও মূর্ছা ভাব।আরো আছে:-
অস্থিরতা, উত্তেজনা, অযথা হাস্য, প্রবল কামেচছা, হিংসা, হাত থেকে জিনিস পড়ে যাওয়ার লজ্জা ইত্যাদি।
🍁প্রয়োগক্ষেত্র :-
পিত্তপ্রধান ও সহজে উত্তেজনাশীল ব্যক্তি, নার্ভাস ধাতুর লোক, বিধবা ও বয়স্ক কুমারীদের পীড়া, জ্বর – টাইফয়েড, আমবাত – বতরোগ, ডিপথিরিয়া, প্রদাহ, কাশি ও হাপানি, হিষ্টিরিয়া, বসন্ত ও হাম প্রভৃতি ক্ষেত্রে এপিস মেল প্রয়োগ হয়।
🍁 মানসিক লক্ষন:-
১। অস্থিরতা, স্নায়ুমন্ডেলের উত্তেজনা হইতে অস্থিরতা আরম্ভ হয়।
২। মস্তিষ্ক বিকারে রোগী হঠাৎ করে চীৎকার করিয়া উঠে।
৩। অনেক সাবধান থাকিলেও ছোট ছেলে মেয়েদের হাত থেকে জিনিষ পড়িয়া যায়।
৪। ছোট বালক রোগী ছটফটে করে। এটা নাড়ে ওটা নাড়ে, না নাড়ীলে ভাল লাগেনা।
৫। রোগীর মনটি সর্বদাই হিংসায় ও সন্দেহে পূর্ণ থাকে।
🍁চরিত্রগত লক্ষন:-
১। বেদনা পর্যাক্রমে আসে, উহা হঠাৎ উপস্থিত হইয়া অল্পমাত্র থাকে ও অত্যান্ত যন্ত্রনা দেয়, এবং হঠাৎ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরিয়া যায়।
২। কোন কোন পীড়ায় পিপাসাহীনতা, শোথ, উদরী, প্রস্রাবের বেগ ধারণে অসমর্থ ও সেই সঙ্গে প্রস্রাব দ্বারে জ্বালা।
৩। প্রস্রাব ঘোর রক্ত বর্ণের।
৪। বেলা ৩ টার সময় জ্বর আসে। উত্তপ্ত ঘরে থাকিতে কষ্ট অনুভব হয়।
৫। পীড়া ডানদিকে আরম্ভ হইয়া বামদিকে যায়।
৬। কোনও পীড়ায় রোগীর গায়ের চামড়া মোমের মত সাদা।
৭। যে কোন পীড়ায় রোগী নিদ্রিত অবস্থায় বা নিদ্রা ভঙ্গকালে রোগী উচ্চস্বরে চীৎকার করিয়া উঠে।
৮। চক্ষুর নিচের পাতা ফোলা। শরীরের নানা স্থানে ফোলা। উত্তাপ সহ্য হয় না।
☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️
📣সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা
ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা উচিত নয়।
⛳আপনারা যদি মনে করেন লেখাগুলো আপনার জন্য উপকারি তাহলে আরেক ভাইয়ের জন্যও হয়তো উপকারি হবে , আপনি কষ্ট করে লেখাটি শেয়ার করলে অন্য ভাইও লেখা পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। তাই শেয়ার করুন এবং পেজে লাইক বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন। আর এ জন্য ইনভাইট অপসানে গিয়ে বন্ধুদেরকে পেজ লাইকের ইনভাইট পাঠান।মনে রাখবেন জানার কোন শেষ নেই ।
📗হোমিওপ্যাথিক টিপস
🌹জার্মান হোমিও কেয়ার
☎হেল্পলাইন 01955507911
No comments:
Post a Comment