১০টি যৌন রোগ এবং সেগুলোর সামগ্রিক লক্ষন নিয়ে আলোচনা

10 Sexual disease & there Symptoms 

⭕🐦⭕🐦⭕🐦⭕🐦⭕🐦⭕🐦⭕🐦

যৌন রোগ বলতে অনেকেই এইডস কে ধরে নেয়।কিন্তুু না আরও বহু যৌনরোগ রয়েছে যা ঠিকমতো চিকিৎসা না-হলে মরন আকার ধারণ করতে পারে। পুরুষ ও মহিলা উভয়েই সমানভাবে আক্রান্ত হতে পারেন এই সব রোগ থেকে।

এইডস সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানেন।এ অংশে অন্যান্ন যৌনরোগগুলো নিয়ে বিষদভাবে আলোচনার চেস্টা করব জেনে রাখুন তাদের নাম ও লক্ষণ—

🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪

এক.ক্ল্যামিডিয়া:-

যোনি এবং পুরুষাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণ এই রোগের লক্ষণ। গড়ে ৫০ শতাংশ পুরুষ ও ৭০ শতাংশ মহিলাদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায়। দ্রুত চিকিৎসা করলে সেরে ওঠা সম্ভব। ক্ল্যামিডিয়া হলে খুব সহজেই অন্যান্য যৌনরোগ বাসা বাঁধে শরীরে।ক্ল্যামিডিয়া হল ব্যাকটেরিয়ার ফলে হওয়া এক ধরণের যৌন রোগ। এই রোগের উপসর্গ হল, পেটের নিচের অংশে অসহ্য যন্ত্রণা হওয়া, প্রস্রাবের সময় যন্ত্রণা হওয়া, যৌনাঙ্গ থেকে ক্রমাগত স্রাব নির্গত হওয়া, যৌনক্রিয়ার সময় যৌনাঙ্গে যন্ত্রণা ইত্যাদি।

🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪


দুই.গনোরিয়া:-

গনোরিয়া হল এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপে হওয়া যৌন রোগ। যা যৌনাঙ্গ, মুখ, চোখ, গলা এবং অন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। উপসর্গ বেদনাদায়ক অন্ত্র, যৌনাঙ্গ থেকে রক্ত বের হওয়া, প্রস্রাবের সময় জ্বালা যন্ত্রণা হওয়া, মেয়েদের ক্ষেত্রে পিরিয়ডে সমস্যা ইত্যাদি।সচরাচর ক্ল্যামিডিয়া এবং গনোরিয়া একই সঙ্গে হয়। যোনি বা পুরুষাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণ, মূত্রত্যাগ করার সময় যন্ত্রণা ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ। চিকিৎসা না করলে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ।

🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪


তিন. যৌনাঙ্গে হার্পিস:-

জেনিটাল হারপিস খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। এটি ছোঁয়াচেও বটে। এই রোগের উপসর্গ হল, নিতম্বে লাল লাল ফুসকুড়িতে ভরে যায়। যৌনাঙ্গে একাধিক ফুসকুড়ি দেখা দেয়, যৌনাঙ্গে জ্বালা, চুলকুনি এবং সংক্রমণ হয়।

৮০ শতাংশ মানুষ যাঁদের যৌনাঙ্গে হার্পিস রয়েছে তাঁরা জানেন না যে তাঁদের শরীর আসলে একটি বিশেষ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত। অজান্তেই তাঁরা সঙ্গী বা সঙ্গিনীর শরীরে সংক্রামিত করেন এই ভাইরাস। যৌনাঙ্গে ছোট ছোট ফোস্কার মতো র‌্যাশ এই রোগের লক্ষণ। ফোস্কা পরার বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে চুলকানির অনুভূতি হয় যৌনাঙ্গে। একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর বার বার এই র‌্যাশগুলি বেরতে থাকে।

🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪


চার. সিফিলিস:-

ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে এই সিফিলিস নামের যৌন রোগটি হতে পারে। এই রোগের ফলে যৌনাঙ্গ, ত্বক এবং শ্লেষ্মা উৎপাদনকারী গ্রন্থি আক্রান্ত হতে পারে। এর উপসর্গ হল ত্বকে কালশিটে দাগ, অ্যালার্জি , সবসময় ঘুম ঘুম ভাব, লিম্ফ নডের আকার বেড়ে যাওয়া। বাড়াবাড়ি হলে এই রোগের ফলে রোগী অন্ধও হয়ে যেতে পারেন, কিংবা শরীরের আংশিক পক্ষাঘাত হতে পারে।

প্রাচীনকাল থেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে মানুষ। ঠিক সময়ে ধরা পড়লে সাম্প্রতিক কালে সহজেই সারানো যায় এই রোগ। কিন্তু রোগ বেড়ে গেলে তা সাঙ্ঘাতিক যন্ত্রণাদায়ক। যৌনাঙ্গ, পায়ু এবং মুখে আলসার হয়, এমনকী চোখেও। তবে প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগের লক্ষণ শরীরে চট করে ধরা পড়ে না।

🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪


পাঁচ.জেনিটাল ওয়ার্ট:-

ভাইরাসের প্রভাবে বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে এই যৌনরোগের আধিক্য হয়। তবে পুরষদেরও এই রোগ হতে পারে। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ ক্রমেই সার্ভিকাল ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে। মূলত, যৌনাঙ্গ ফুলে যাওয়া, যৌনাঙ্গে একাধিক আঁচিল জন্মানো, যৌন মিলনের সময় রক্তক্ষরণ, যৌনাঙ্গে অস্বস্তি ইত্যাদি লক্ষণগুলি দেখা যায়।

🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪


ছয়. হেপাটাইটিস বি:-

অনেকেই ভাবেন হয়তো হেপাটাইটিস লিভারের রোগ, এটি যৌনরোগ নয়। কিন্তু আসলে এটি ভাইরাস বাহিত একটি যৌন রোগ। এই রোগ সবক্ষেত্রে না হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছোঁয়াচেও বটে। এই রোগের উপসর্গ বলতে প্রচন্ড ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, খাওয়ার ইচ্ছে নষ্ট হয়ে যাওয়া, জ্বর, গাঁটের ব্যথা এবং ত্বকের অ্যালার্জি দেখা যায়।একই ভাবে ছড়াতে পারে হেপাটাইটিস এ এবং হেপাটাইটিস সি তবে তার সংখ্যা খুবই কম। লিভার সংক্রান্ত জটিলতা, মূত্রের রং পরিবর্তন, গা বমি ভাব ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ হতে পারে।

🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪


সাত.এইচআইভি ও এইডস:-এটি সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই।

এইচআইভি/এইডস হল সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যৌনরোগ। এই রোগের সেভাবে চিকিৎসা বলতেও কিছু নেই। এই রোগে মৃত্যু হতে পারে। উপসর্গ বলতে ক্লান্তি, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা, চূড়ান্তে পেটের সমস্যা, মাথা যন্ত্রণা, সংক্রমণ, রোগ প্রতিহত করার ক্ষমতা ক্রমশ কমতে থাকা প্রভৃতি।

🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪


আট.যৌনকেশে উকুন:-এটি খুব সাধারন একটি সমস্যা তবে সতর্ক থাকা ভাল।

মাথার চুলের মতো যৌনাঙ্গের কেশেও উকুন বাসা বাঁধতে পারে এবং শারীরিক মিলনের সময়ে তা অন্যের শরীরে সংক্রামিত হয়। যৌনাঙ্গের আশপাশে চুলকানি হলে তা এই কারণে হতে পারে।

🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪


নয়. ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস:-

যোনি থেকে নিঃসরণে দুর্গন্ধ এই রোগের লক্ষণ। অন্যান্য রোগের তুলনায় এই রোগ খুব সহজেই সেরে যায়।

🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪


দশ.ট্রাইকোমোনিয়াসিস:-

যৌনাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণ, যৌনক্রিয়ার সময় যৌনাঙ্গে যন্ত্রণা এবং মূত্রত্যাগের সময় যন্ত্রণা এই রোগের লক্ষণ যদিও সঠিক চিকিৎসায় দ্রুত সেরে ওঠা সম্ভব।

🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪🎪


উপরোক্ত রোগগুলো সম্পর্কে যারা জানেনা তাদেরকে একটা বেসিক ধারনা দেওয়ার চেস্টা করেছি তবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রতিটি রোগ আলাদা আলাদা সিম্পটম প্রকাশ করে তাই চিকিৎসা পদ্ধতিও ভিন্ন ভিন্ন।তবে নির্দিস্ট কোন রোগের ক্ষেত্রে পরামর্শের জন্য হেল্পলাইনে দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়ার চেস্টা করব।সুতরাং মেডিসিন সম্পর্কে জানতে চাওয়াটা হবে বিভ্রান্তিমূলক।সবাই ভাল থাকবেন,নিরাপদে থাকবেন।খেয়াল রাখবেন ক্ষনিকের অসাবধানতা যেন সারাজীবন বয়ে বেড়াতে না হয়।শুভকামনা সবসময়।

📘📘📘📘🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿📘📘📘📘

🌿সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা

ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা  উচিত নয়।

⛳আপনারা যদি মনে করেন লেখাগুলো আপনার জন্য উপকারি তাহলে আরেক ভাইয়ের জন্যও হয়তো উপকারি হবে , আপনি কষ্ট করে লেখাটি শেয়ার করলে অন্য ভাইও লেখা পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। তাই শেয়ার করুন এবং পেজে লাইক বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন। আর এ জন্য ইনভাইট অপসানে গিয়ে বন্ধুদেরকে পেজ লাইকের ইনভাইট পাঠান।মনে রাখবেন জানার কোন শেষ নেই ।


📗হোমিওপ্যাথিক টিপস

📑জার্মান হোমিও কেয়ার

☎হেল্পলাইন 01955507911

No comments:

Post a Comment