রাসটক্স (মেটেরিয়া মেডিকা)

Rhustox

🍏ক্রিয়াস্থান :-মাংসপেশী, চর্ম, মিউকাস মেমব্রেন, সন্ধিসমূহ, প্রন্থিমালা, স্নায়ুমন্ডলী, রক্ত সঞ্চালন মন্ডলী প্রভৃতি এই ঔষধের প্রধান ক্রিয়াস্থান।


🍑চারিত্রিক ও চরিত্রগত লক্ষণ :-

১. রোগী উত্তপ্ত অবস্থায় অল্পক্ষন জনে ভিজিলে অথবা নদী ও পুকুরে স্নান করিলে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

২. শান্ত স্বভাবের ব্যক্তিগণের পীড়া, স্যাঁতস্যাঁতে স্থানে বসবাস হেতু অসুস্থ হইয়া পড়ে।

৩. বাত ও সন্ধিবাত। ঝড়বৃষ্টির পূর্বে বেদনার বৃদ্ধি হয় এবং হাত পা শক্ত হইয়া থাকে ।

৪. অত্যাধিক পরিশ্রমের পর জলে ভিজিয়া পীড়া।

৫. রোগী শরীর আবৃত  করিয়া রাখে অথচ হাত বাহির করিলেই কাশি আসে।

৬. পেশীতে ছিঁড়িয়া ফেলার মত বেদনা ।

৭. ক্ষুধা থাকে কিন্তু আহারের স্পৃহা থাকে না। মুখ গহ্বর ও গলায় অত্যান্ত শুষ্কতার সহিত প্রবল তৃষ্ণা। বিশেষত: রাত্রি কালে মুখ অত্যন্ত শুষ্কতার সহিত ঠান্ডা পানীয় পানের অদম্য তৃষ্ণা । কিন্তু ঠান্ডা পানীয়ে শীত ও কাশি দেখা দেয়।

৮. জিহ্বা খসখসে ও শুষ্ক। ধারগুলি লাল, ডগা লাল অথবা কাটা কাটা দেখায়।

৯. দিনে অস্থিরতা থাকে না, রাত্রে অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়, একভাবে শয়নে থাকিলে কষ্টানুভব।

১০. বাম অঙ্গের পেশীসমূহের বাত, বাম অঙ্গে সায়েটিকা বা এক প্রকার স্নায়ুশূল ও বাত।

১১. মাংস পেশীতে টাটান ব্যথা। আক্রান্ত স্থান খুলিলেই ক্ষতের মত ব্যথা বোধ।

১২. ঠোঁটের কোণে ঘা, মুখের ও ঠোঁটের চতুর্দিকে জ্বর ঠুটো।

১৩. মুখ, গলা, জিব সবই শুষ্ক, অত্যন্ত পিপাসা।

১৪. শরীরের স্থানে স্থানে আম বাতের মত ফোলা, তাহাতে চুলকানি।

১৫. লালাস্রাব, খাদ্যদ্রব্য তিক্তাস্বাদ, রুটি ও চিংড়ি মাছ খাওয়ার ইচ্ছা।

১৬. পুরাতন আমাশয় ও উদরাময়।


🍑মানসিক লক্ষণ :-

১. কোন কিছু প্রশ্ন করিলে দ্রুত উত্তর দেয়। উৎকন্ঠা ভাব ও ভয় বর্তমান থাকে।

২. রাত্রে প্রলাপ বেশী।

৩. মানসিক উত্তেজনা ও আত্নহত্যার চিন্তা। রোগী ডুবিয়া মরিতে চায় কিন্তু মৃত্যুবরণ করিবার সাহস হয় না। আত্নহত্যার ও সাহস হয় না।  

৪. অস্থিরতা ও অবিরত স্থান পরিবর্তন। রোগী খেয়ালী প্রকৃতির।

৫. উত্তাপে উপশম ও রাত্রে বৃদ্ধি।

৬. স্বপ্নে দেখে যেন পৃথিবী অগ্নিময় হয়েছে।

৭. শুনা কথা ও কুসংস্কারে বিশ্বাস করে।


🍑প্রয়োগক্ষেত্র :-

সর্দিকাশি, আর্দ্র আবহাওয়ার জ্বর, টাইফয়েড, ইনফ্লুয়েঞ্জা, গাত্র বেদনা, বাত, সন্ধিবাত, চক্ষুর পীড়া, উদরাময় ও আমাশয়, পক্ষাঘাত, যকৃতের পীড়া, বমন, কলেরা, দন্তশূল, কার্বংকল, ডিপথিরিয়া, স্ত্রী পীড়া, ক্ষত প্রভৃতি পীড়ায় ।

ইনফ্লুয়েঞ্জা ও সবিরাম জ্বর :

বৃষ্টিতে ভিজিয়া বা স্যাঁস্যাঁতে স্থানে থাকিয়া জ্বর। জ্বর চুপ করিয়া থাকিলে বেদনার বৃদ্ধি এবং নড়াচড়ায় উপশম। বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টার মধ্য জ্বর আসে। দুপুর বেলা ব্যতীত সকল সময় প্রাতে ৬টা থেকে ১০টার মধ্যে জ্বর আসে। ৭টার দিকে জ্বর আসিলে তাহা সারা রাত থাকে।

জ্বর আসিবার পূর্বে শরীর বেদনা, হাত-পা কমড়ানি হাই তোলা, গা ভাঙ্গিয়া আসা, মুখ দিয়া লালা নিঃসারিত হওয়া, চোখ জ্বালা, শুষ্ক খকখকে কাশি।


সবাই ভাল থাকবেন।সুস্হ জীবন,সুন্দর থাকার প্রধান উপকরন।শুভরাত্রী।

🍎🍎🍎🍎🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🍎🍎🍎🍎

🌿সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা

ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা  উচিত নয়।

⛳আপনারা যদি মনে করেন লেখাগুলো আপনার জন্য উপকারি তাহলে আরেক ভাইয়ের জন্যও হয়তো উপকারি হবে , আপনি কষ্ট করে লেখাটি শেয়ার করলে অন্য ভাইও লেখা পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। তাই শেয়ার করুন এবং পেজে লাইক বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন। আর এ জন্য ইনভাইট অপসানে গিয়ে বন্ধুদেরকে পেজ লাইকের ইনভাইট পাঠান।মনে রাখবেন জানার কোন শেষ নেই ।


📗হোমিওপ্যাথিক টিপস

📑জার্মান হোমিও কেয়ার

☎হেল্পলাইন 01955507911

No comments:

Post a Comment