যৌন উত্তেজায় ব্যবহৃত পাশ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত ৩টি হোমিওপ্যাথিক ম্যাজিক মেডিসিন।


🍎জিনসেং ও লিংগোত্থানে অক্ষমতাঃ-


_________________________________


জিনসেং এর গুনাবলীর মধ্যে সবচেয়ে বেশী যা প্রমানিত তা হলে, পুরুষের লিংগোত্থানে অক্ষমতা রোধে এর ভূমিকা। University of Ulsan এবং the Korea Ginseng and Tobacco Research Institute ৪৫ জন ইরেকটাইল ডিসফাংশন (লিংগোত্থানে অক্ষম ব্যাক্তি) এর রোগীর উপর একটি পরীক্ষা চালান। তাদের কে ৮ সপ্তাহের জন্য দিনে ৩বার করে ৯০০ মিগ্রা জিনসেং খেতে দেয়া হয়, এরপর দুই সপ্তাহ বিরতি দিয়ে আবার ৮ সপ্তাহ খেতে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে ৮০% জানান যে, জিনসেং গ্রহনের সময় তাদের লিংগোত্থান সহজ হয়েছে। ২০০৭ সনে Asian Journal of Andrology এ ৬০ জন ব্যাক্তির উপর করা এবং Journal of Impotent Research এ ৯০ জন ব্যাক্তির উপর করা অনুরুপ আরো দুটি গবেষনা প্রকাশিত হয়। ২০০২ সালের একটি গবেষনায় বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন যে, জিনসেং কিভাবে লিংগোত্থানে সহায়তা করে। পুরুষের যৌনাংগে corpus cavernosum নামে বিষেশ ধরণের টিস্যু থাকে। নাইট্রিক অক্সাইডের উপস্থিতিতে এই টিস্যু রক্তে পরিপূর্ণ হয়ে লিংগোত্থান ঘটায়। জিনসেং সরাসরি দেহে নাইট্রিক অক্সাইডের পরিমান বাড়িয়ে লিংগোত্থানে সহায়তা করে।


🍎যৌন অক্ষমতায় অশ্বগন্ধা:-

_________________________


♣অশ্বগন্ধা একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এই গাছের পাতা সেদ্ধ করলে ঘোড়ার মূত্রের মতো গন্ধ বেরোয় বলে একে অশ্বগন্ধা বলে হয়।এই পাতার বৈজ্ঞানিক নাম ‘উইথানিয়া সোমনিফেরা । আয়ুর্বেদে একে বলা হয় বলদা ও বাজিকরি।

অশ্বগন্ধা গাছের মূল এবং পাতা স্নায়ুর বিভিন্ন রোগে ব্যবহৃত হয়। এই গাছ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকায় পাওয়া যায়। ঘুম আনার ওষুধ হিসাবে প্রাচীন মেসোপটেমিয়া এবং মিশরে এর ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়।

অশ্বগন্ধার মূল, পাতা, ফুল, ফল, ছাল, ডাল সবই ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। গাছটি সাধারণত দুই-আড়াই হাত উঁচু হয় এবং শাখাবহুল। এতে ছোট ছোট মটরের মতো ফল হয়।

♦ভেষজ গুণ-

এ গাছের রস শক্তিবর্ধক। শুক্রাণু বাড়াতে অশ্বগন্ধার নাম সুবিদিত।

অশ্বগন্ধার এর মূল ও পাতা স্নায়ুবিক বিভিন্ন রোগে উপশম আনে। দুধ ও ঘিয়ের সঙ্গে পাতা ফুটিয়ে খেলে শরীরে বল পাওয়া যায়। ইনসমনিয়ায় বা অনিদ্রায় ভুগলে অশ্বগন্ধা উত্তম ওষুধ হিসাবে কার্যকর হতে পারে।

ভালো ঘুমের জন্য অশ্বগন্ধা গুঁড়ো চিনিসহ ঘুমানোর আগে খেতে পারেন।

সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে অশ্বগন্ধার মূল গুঁড়ো করে খাওয়া যেতে পারে।

চোখের ব্যথা দূর করতে অশ্বগন্ধা বিশেষ উপকারী।

ক্রনিক ব্রংকাইটিসের ক্ষেত্রেও অশ্বগন্ধা একটি কার্যকর ওষধু। অশ্বগন্ধার মূল অন্তর্ধুমে পুড়িয়ে (ছোট মাটির হাঁড়িতে মূলগুলো ভরে সরা দিয়ে ঢেকে পুনঃমাটি লেপে শুকিয়ে ঘুটের আগুনে পুড়ে নিতে হয়। আগুন নিভে গেলে হাঁড়ি থেকে মূলগুলো বের করে গুঁড়ো করে নিতে হয়) ভালো করে গুঁড়িয়ে নিয়ে আধা গ্রাম মাত্রায় একটু মধুসহ চেটে খেলে ক্রনিক ব্রংকাইটিসে উপকার হয়।

মানসিক ও শারীরিক দুর্বলতা, যেমন মাথা ঝিমঝিম করে ওঠা, সংজ্ঞাহীনতা, অবসাদ প্রভৃতি দূর করে অশ্বগন্ধা। মনোযোগ বাড়ায়। ক্লান্তি দূর করে সঞ্জীবনী শক্তি পুনরুদ্ধার করে।

অম্বল-অজীর্ন, পেট ফাঁপা এবং পেটের ব্যথা নিরাময় সহ যকৃতের জন্য ভীষণ উপকারী অশ্বগন্ধার ফল। হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে অশোধিত অশ্বগন্ধা গুঁড়ো বা পাউডার হজমে গোলমাল সৃষ্টি করে। এর ফলে তলপেটে ব্যথা উঠতে পারে। সুতরাং যাদের হজমশক্তি দুর্বল, তাদের অবশ্যই ভালো মানের অশ্বগন্ধা সেবন করতে হবে।


🍎সেক্সুয়াল সমস্যায় ডামিয়ানা:-

____________________________


বাধক, ঋতুবন্ধ, শ্বেত প্রদর, ধ্বজভঙ্গ, শুক্রাণুর ক্ষয়, মাথা ব্যথা, মূত্রবেগ ধারণে অক্ষমতা প্রভৃতি।

ডাঃ হেল বলেন, এই ঔষধটি স্ত্রী ও পুরুষ উভয়েরই জননেন্দ্রিয়ের উত্তেজক।

অত্যাদিক ইন্দ্রিয়সেবা জনিত রোগ, স্বপ্নদোষ বা অসাড়ে শুক্রপাত কিংবা মূত্রথলি মুখশায়িকা গ্রন্থি হতে অসাড়ে লালার ন্যায় স্রাব প্রভৃতিতে ইহা উপযোগী।

স্ত্রীলোকদিগের রজোরোগ, বাধক এবং প্রদর প্রভৃতিতে রোগের জন্য জননেন্দ্রিয়ের শিথিলতায় ও ইহা ফলপ্রদ ঔষধ।

বৃদ্ধদিগের মূত্রবেগ ধারণ শক্তির অভাব এবং দিবা রাত্রি ফোটা ফোটা প্রস্রাব নির্গত হইলেও প্রয়োগ করা চলে।

আছাড় খাইবার ফলে মেরুদন্ডে আঘাত পাইলে ব্যবহার্য।

মাথার উপরদিকে অত্যাদিক যন্ত্রণাযুক্ত শূল।।

টার্নেরা বা ড্যামিয়ানা ধ্বজভঙ্গের বিশিষ্ট ঔষধ।

ইহাকে স্পেসিফিকও বলে। 

স্নায়ুবিক দুর্বলতার হেতু ইন্দ্রিয়শক্তির হ্রাস বা একেবারেই লোপ বৃদ্ধদের রক্ষণশক্তির অভাব।

প্রস্রাব -পায়খানার সময় কোথঁ দিলে শুক্রপাত হয়।

যে সকল স্ত্রীলোকের ঋতুস্রাবের গোলযোগ আছে, জননেন্দ্রিয় শিথিল এবং দুর্বল এই ঔষধ কিছু দিন নিয়মিত ভাবে ব্যবহার করিলে তাহাদের সে সকল দোষ দূরীভূত হয়।


🌷সেবন বিধি :-মাদার টিংচার /Q

২০ ফোটা ২ বার খাওয়ার পর এক ছটাক পানি সহ সেব্য।ঔষধ অবশ্যই জার্মানির হতে হবে।


ডাঃ মোঃ ফরহাদ হোসেন

D.H.M.S(B.H.B),DHAKA

কনসালট্যান্ট 

হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন


🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿

সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা

ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা  উচিত নয়।

⛳আপনারা যদি মনে করেন লেখাগুলো আপনার জন্য উপকারি তাহলে আরেক ভাইয়ের জন্যও হয়তো উপকারি হবে , আপনি কষ্ট করে লেখাটি শেয়ার করলে অন্য ভাইও লেখা পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। তাই শেয়ার করুন এবং পেজে লাইক বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন। আর এ জন্য ইনভাইট অপসানে গিয়ে বন্ধুদেরকে পেজ লাইকের ইনভাইট পাঠান।মনে রাখবেন জানার কোন শেষ নেই।


📗হোমিওপ্যাথিক টিপস

🌿germanhomoeocare.blogspot.com

☎হেল্পলাইন 🏪01955507911

No comments:

Post a Comment