দ্রুত বীর্যস্খলন এবং ধ্বজভঙ্গ রোগীর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

📕সাথে বায়োকেমিক চিকিৎসা সংযোজন করা হয়েছে।

🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼

শৃঙ্গারের অভাবে বা স্ত্রীর সক্রিয়তার অভাবে স্ত্রীর চরম পুলক না হইতে পারে । ইহাকে দ্রুত স্খলন বলে না । আবার কখনও স্বামীর মধ্যে মধ্যে বিরতি দিয়া জোরে জোরে অঙ্গ চালনার জন্য স্ত্রীর ভঙ্গাঙ্কুর সহনশীলতার একটি অবস্থার সৃষ্টি হয় । এই জন্য শেষে দ্রুত অঙ্গ চালনা করিলেও কখনও কখনও চরমপুলক হয় না । 


সৃঙ্গার পূর্ণরূপে হওয়া দরকার । ইহার অভাবে নারীর প্রস্তুতিই হয় না । অর্থাৎ তাহার যৌন অঙ্গের প্রতিটি স্তর মিলনের জন্য পূর্ণরূপে উপযোগী হয় না । ইহার প্রমান পাওয়া যাইবে তাহার যোনি পথে । উহা উত্তেজনার রসক্ষরণে পূর্ণরূপে সিক্ত হয় না ও পিচ্ছিল হয় না । পুরুষ সদা প্রস্তুত । অল্পক্ষণের মধ্যেই তাহার বীর্যপাত হইতে পারে । কিন্তু নারীর চরম পুলকের জন্য অঙ্গ প্রবেশের পূর্বে স্ত্রীর আঙ্গিক উত্তেজনা প্রয়োজন । পুরুষের উত্তেজনা সৃষ্টি হয় মনে । কিন্তু নারীর উত্তেজনার সৃষ্টি হয় দেহস্পর্শে । তাই দেহে প্রচুর উত্তেজনা দেওয়া চরম পুলকের প্রস্তুতির জন্য অবশ্য প্রয়োজন । যদি এই শৃঙ্গার উত্তমরূপে হয় তবে স্বামীর ২/৩ মিনিট রতিকাল স্ত্রীর চরমপুলকের জন্য যথেষ্ট । 


তাই এই শৃঙ্গার এক তরফা হইলে চলিবে না । যদি স্ত্রী নিজে শৃঙ্গারের সময় অংশ গ্রহণ করে তবে খুবই সহজ হয় । সে ছাড়া শৃঙ্গারের পরে স্ত্রী উপরে, স্বামী নিচে এই অবস্থায় যদি স্ত্রী সক্রিয়ভাবে তাহার অঙ্গ চালনা করে তবে ১ হইতে ৩ মিনিটের মধ্যেই তাহার চরম পুলক হইতে পারে । অথবা সামনাসামনি বসা অবস্থায়ও যদি সক্রিয় অংশ নেয় তবে সহজে চরম পুলক হয় । 


স্ত্রীর ভগাঙ্কুরের সহনশীলতার বিষয়ে সকল সময় স্বামীকে লক্ষ্য রাখিতে হইবে । শেষ পর্যায় ব্যতীত বিরতি দেওয়ার পর্যায়ে কখনও সে যেন জোরে জোরে এবং সম্পূর্ণ অঙ্গ চালনা না করে । এই বিষয় নারীর চরম পুলক কি ভাবে হয় নিম্নে তাহা আলোচনা করছি ।


🌽 নারীর চরম পুলক কিভাবে হয়? Orgasm & how it occurs? 


যোনি পথের নীচের প্রান্তও সংবেদনশীল, কিন্তু ভগাঙ্কুর হইতে অপেক্ষা কৃত কম । যদি যৌন অঙ্গ দ্বারা যোনিপথ মৃদু মৃদু ঘর্ষণ হয় তবে ভঙ্গাঙ্কুর ক্রমেই চরম পুলক লাভের জন্য আগাইয়া আসিবার সুযোগ পায় । এইরূপ যদি দীর্ঘক্ষণ মৃদুমৃদু ঘর্ষণ অব্যাহত থাকে বা কিছুক্ষণ মৃদু ঘর্ষণের পর কয়েকবার বিরতি দেওয়া হয় তবে শেষ দিকে মাত্র কিছুক্ষণ সজোরে ঘর্ষণ দ্বারা সহজে চরম পুলক লাভ হইয়া থাকে । অথবা যোনি পথে প্রথম হইতে সজোরে ঘর্ষণ হইতে থাকিয়া যদি একই মাত্রায় চলিতে থাকে তাহা হইলেও সহজে ভঙ্গাঙ্কুরের চরম পুলক লাভ হইয়া থাকে । কিন্তু যদি সঙ্গমের প্রথম দিকে বা মাঝখানে কখনও যোনি পথে সজোরে ঘর্ষণ হইয়া উহার মাত্রা কমাইয়া দেওয়া হয় তবে ভগাঙ্কুরের চরম পুলকের পথে যে অগ্রগতি হইয়াছিল উহা পিছাইয়া যাইবে । পূর্বের সমান অগ্রগতির জন্য পূর্বের চেয়ে আরও সজোরে ঘর্ষণ দরকার হইবে । এইরূপ যদি কয়েকবার সজোরে ঘর্ষণ হইয়া পুনরায় স্থগিত থাকে তবে ভঙ্গাঙ্কুরের এমন একটি অবস্থার সৃষ্টি হইবে যাহাকে অতিক্রম করিয়া চরম পুলক লাভ হওয়া অধিক কষ্টকর হইবে । ইহাকে ভঙ্গাঙ্কুরের চরম পুলক লাভের পথে স্নায়ুর রেজিষ্টেন্স ( Resistance ) অবস্থা বলা হয় । ইহা স্পর্শ সুখ অনুভূতির বিরুদ্ধে স্নায়ুর 

সহনশীলতা । হস্ত দ্বারা ভঙ্গাঙ্কুরের উত্তেজনা দেওয়ার সময় ও উক্ত একই পদ্ধতিতে একই ফল লাভ হয় ।


পুরুষাঙ্গ সম্পর্কেও একই কথা প্রযোজ্য । যদি প্রথম হইতে মৃদু মৃদু ঘর্ষণ হয় এবং কিছুক্ষণ পর পর উহার বিরতি হয় তবে কার্পাস ক্যাভারনোসামে ক্রমেই অধিক রক্ত সঞ্চয় হইতে থাকে । পুরুষের উপরোক্ত রেজিষ্টেন্স ( Resistance ) অবস্থা স্ত্রীলোকের চরম পুলক লাভের জন্য কাম্য । উহা মৃদু ঘর্ষণ যাহা তৈয়ার হয় উহাই যথেষ্ট । কিন্তু স্ত্রীলোকের বেলায় রেজিষ্টেন্স ( Resistance ) চরম পুলকের জন্য কাম্য নহে । মৃদু ঘর্ষণের বিরতিতে তাহার মধ্যে যে সামান্য রেজিষ্টেন্স তৈয়ার হয় উহা অসুবিধা জনক নহে । বরং সজোরে ঘর্ষণের পর পর বিরতিতে শক্ত রেজিষ্টেন্স তৈয়ার হয় । 


🌽 আংশিক অঙ্গ শিথিলতা ও পুরুষত্বহীনতা বা ধ্বজভঙ্গ – 


উত্তেজনা হওয়ার পর উহা স্থায়ী না থাকার নাম আংশিক অঙ্গ শিথিলতা । অঙ্গ মোটেই দৃঢ় না হওয়ার নাম পুরুষত্বহীনতা । 


★ অল্প সময়ের ব্যবধানে বার বার স্ত্রী সঙ্গম হইলে কিছুক্ষণের জন্য এইরূপ হইতে পারে । এমন কি প্রথম দিকে সার্থকভাবে অঙ্গচালনার পরে মাঝ পথেও এরূপ হইতে পারে । সর্বাঙ্গীণ ও স্নায়ুর অত্যধিক ক্লান্তিতে এইরূপ হইতে পারে । 


★ অচেতন মনে হীনমন্যতার সৃষ্টি হওয়া । ইহা সাধারণতঃ অধিক মিলনের সময় বারবার দ্রুত স্খলন হইলে নিজের মনে একটা ধারণা বদ্ধমূল হইয়া যায় যে প্রকৃত পক্ষে তাহার যৌন ক্ষমতা দুর্বল, অথচ তাহার বারবার দ্রুত স্খলনের পিছনে প্রকৃত কারণ ছিল, দুর্নামের ভয়, গর্ভ হওয়ার ভয়, ইত্যাদি । প্রথম ছিল ভয়, ভয় হইতে দ্রুত স্খলন, দ্রুত স্খলন হইতে সক্ষম হইতে না পারার ভীতি, এই যৌন ভীতি হইতে আরও দ্রুত স্খলন । তাই তাহার নিজের উপর অবিশ্বাস আরও দৃঢ় হয় । ইহা যদি বহুদিন যাবত চলিতে থাকে এবং এই ভয় মনটাকে অনেক খানি গ্রাস করে তবে ঐ অবস্থায় আংশিক অঙ্গ শিথিলতা দেখা দিতে পারে । ক্ষুদ্র পুরুষাঙ্গ ও স্ত্রীর বিরাট দেহের চিন্তায় ও উহা হইতে পারে । 


আবার অবৈধ মিলন ব্যতীত স্বপ্নদোষ, হস্ত মৈথুন, ঘোলাটে বা সাদা প্রস্রাব, মলত্যাগ ও প্রস্রাবের সহিত অপ্রকৃত বীর্যপাত ইত্যাদি হইতে মনে মনে দীর্ঘদিন যাবত যদি যৌন আতঙ্ক চলিতে থাকে এবং উহা মনকে আংশিক গ্রাস করিতে পারিয়া থাকে তবে ইহাতে আংশিক অঙ্গ শিথিলতা দেখা দিতে পারে । 


উপরোক্ত কারণ সমূহ বা বাল্য ও যৌবনকালে মনের উপর কোনও নিষেধ প্রভাব যথা – সঙ্গম করা একটি বিশ্রী ও ঘৃণা জনক কাজ ইত্যাদি যদি সম্পূর্ণ মনকে গ্রাস করিয়া থাকে তবে পূর্ণ শিথিলতা বা পুরুষত্বহীনতা বা ধ্বজভঙ্গ দেখা দিবে । 


★★ রোগের কারণ নির্ণয় – 


যদি হঠাৎ ইহা দেখা দিয়া থাকে তবে বুঝিতে হইবে যে উহা সাময়িক দেহ ও মনের ক্লান্তি জনিত । যদি ধীরে ধীরে দেখা দিয়া থাকে তবে জানিতে হইবে যে বিগত দিনে তাহার যৌন অভ্যাস কি রকম ছিল । যদি অত্যধিক রতিক্রিয়ার ইতিহাস পাওয়া যায় তবে উহাও সাময়িক মানসিক ক্লান্তি জনিত । যদি পূর্বে অত্যধিক স্বপ্নদোষ, হস্ত মৈথুন ইত্যাদির ইতিহাস থাকে এবং কখনও স্ত্রীর সহিত সার্থক রতি ক্রিয়া করিতে না পারিয়া থাকে অথবা বিবাহের পূর্বে বা পরে অবৈধ মিলনের অভ্যাস থাকিয়া থাকে এবং দীর্ঘদিন ধরিয়া দ্রুত স্খলন চলিয়া থাকে তবে উভয় ক্ষেত্রেই যৌনহীনমন্যতা ( Inferiority complex regarding his ability in coitus ) হইতে আংশিক অঙ্গ শিথিলতার সৃষ্টি হইয়াছে বুঝিতে হইবে । 


অথবা রোগীর মধ্যে অত্যধিক মানসিক দুশ্চিন্তার কারণ পাওয়া যাইতে পারে । বহুদিনের পুরাতন গনোরিয়া রোগ থাকিতে পারে । 


★★ চিকিৎসা ★★ 


★ মন হইতে যাবতীয় চিন্তা ভাবনা দূর করিতে হইবে । 


★ বীর্য কি, উহার কাজ কি, কিভাবে তৈয়ার হয় উহার সহিত শরীরের প্রকৃত সম্পর্ক কি ইত্যাদি রোগীকে ভালভাবে বুঝাইতে হইবে । যৌন বিষয় যাবতীয় তথ্য ভালভাবে হৃদয়ঙ্গম করিতে হইবে ; ইহার বিষয়ে নিজে পড়াশুনা করিয়া জানিয়া নিলে সব চাইতে উত্তম হয় । ইহাতে চিন্তাগুলি শীঘ্র শীঘ্র দূরীভূত হইয়া যৌনহীনমন্যতা দূর হইবে । 


★ দ্রুত স্খলনের চিকিৎসায় ১ হইতে ৭ নং পর্যন্ত বিষয়গুলি অনুসরণ করিতে হইবে । 


★ যদি পূর্বে যৌন ক্ষমতা স্বাভাবিক থাকিয়া থাকে তবে উহা সাময়িক দৈহিক ও মানসিক ক্লান্তি জনিত বলিয়া কিছুদিনের জন্য রতি বিরতি ও সম্পূর্ণ বিস্রাম নিতে হইবে । ঐ সময় দুধ, মাংস, ঘি ও মাখন সহ্যমত খাইবে । তবে যদি ইতিমধ্যে তাহাকে যৌন চিন্তায় পাইয়া থাকে তবে মনের আতঙ্ক দূর না করা পর্যন্ত বিশ্রাম ও উত্তম খাদ্যে ফল হইবে না, তখন নিজের মনের বল আনয়ন প্রয়োজন হইবে । 


★ যদি অল্প কিছু দিনের জন্য হইয়া থাকে তবে মানসিক কারণ কিভাবে হীনমন্যতার সৃষ্টি করে উহা তাহাকে বিশদভাবে বুঝাইতে হইবে । তবেই ক্রমে ক্রমে হীনমন্যতার প্রভাব চলিয়া গিয়া সে স্বাভাবিক যৌনতা প্রাপ্ত হইবে । 


★ গনোরিয়া ও সিফিলিস জনিত হইলে উহাদের চিকিৎসা দিতে হইবে । 


★ ৫০ হইতে উর্ধ বয়স্কদের মধ্যেও মানসিক দুশ্চিন্তা প্রধান কারণ হওয়ায় তাহাদের উপরোক্ত উপায়ে মানসিক কারণগুলি বুঝিয়ে দিতে হইবে । কেননা সকলের বেলায়ই যে ৫০ বছর পরে যৌন ক্ষমতা কমিয়া যাইবে এমন কথা নহে । যেহেতু পুরুষের যৌন শক্তি মনের উপর নির্ভর করে তাই মনে যাদের চির বসন্ত তাদের কোন ঔষধই দরকার করে না । 


হোমিওপ্যাথি লক্ষন ভিত্তিক চিকিৎসা ব্যাবস্থা, তাই সব রোগীর লক্ষন এক রকম থাকে না, লক্ষন অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে, তা হলে উপকার হবে , নিন্মে কিছু লক্ষন ও ওষুধের নাম দেওয়া হলো, আপনি লক্ষন মিলিয়ে সেবন করিবেন, তবে ওষুধের মান ভালো হতে হবে । ভালো মানের ওষুধ সেবন করিলে আল্লাহর রহমতে রেজাল্ট নিশ্চিত পাবেন ।


Aesculus Hip ( ইস্কুলাস ) > প্রত্যেকবার পায়খানা ও প্রস্রাবের পর প্রস্টেট গ্রন্থি থেকে রস নিঃসরণ ; ঘুমের মধ্যে বীর্যস্খলন । জননেন্দ্রিয়ের নানাবিধ কষ্ট । 


Agaricus mus ( অ্যাগারিকাস মাস ) > যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি, সেইসাথে লিঙ্গের শিথিলতা । সঙ্গমে সামান্য বীর্যপাত । রতিক্রিয়ার পর অধিক দুর্বলতা ও নৈশকালীন ঘাম । যৌনাঙ্গে চুলকানি । অণ্ডকোষের মধ্যে একটি টান অনুভুতি । 


Agnus castus ( আগ্নাস ক্যাস্ট ) > যৌন শক্তির হ্রাস । লিঙ্গ ক্ষুদ্র ও শিথিল ( flaccid ) এমন ঢিলা যে যৌন আনন্দের উত্তেজনা প্রয়োগেও লিঙ্গোত্থান হয় না ( voluptuous fancies excite no erection ) । নগণ্য লিঙ্গোত্থান যৌন ইচ্ছা ছাড়াই । অণ্ডকোষ ঠাণ্ডা, স্ফীত, শক্ত এবং ব্যথাযুক্ত । ধ্বজভঙ্গ তার সাথে প্রমেহ ( বিশেষ করে যাদের ঘন ঘন গনোরিয়া হয় ) । প্রমেহ, যৌন ইচ্ছা ব্যাতিরকে লিঙ্গোত্থান । মলত্যাগের সময় যখন কোঁত দেয় তখন প্রস্টেট গ্রন্থির রস নির্গমন, প্রস্রাবত্যাগের সময়ও যদি চাপ দেয় তখন অনুরূপ রস ক্ষরণ হয় । রেতঃরজ্জুতে একটি টান টান ভাব থাকে । দুর্বল উত্তেজনা ও মূত্রাশয় গ্রন্থি থেকে রসক্ষরণ ( prostatorrhoea ) এর ফলে কৃত্রিম উপায়ে রেতঃপাত ( pollution ) যৌনাঙ্গে চুলকানি । মূত্রনালি হতে হরিদ্রা বর্ণের স্রাব । যৌন ইচ্ছা প্রচাপিত সহ গনোরিয়া । 


এলো ( Aleo ) > যৌন ইচ্ছা বর্ধিত < ঘুম হইতে জাগ্রত হওয়ার পর, আহারের পর, সন্ধ্যায় । সকালে ও প্রস্রাবত্যাগের পর লিঙ্গোত্থান । দিবা নিদ্রাকালে অনৈচ্ছিক বীর্যপাত ; সকালের দিকে যৌন উত্তেজনা, অস্থির নিদ্রা । লিঙ্গ সংকুচিত হয়ে যায়, এবং অণ্ডকোষ শীতল । 


অ্যালুমেন ( Alumen ) > রাতে আহারের সময় লিঙ্গোদ্রেক । ঘন ঘন বীর্যস্খলন । গনোরিয়া; প্রমেহ ( gleet ) । পেটের মধ্য লাইন থেকে ব্যথা তীর বেগে ধাবিত হয়ে, সুতার মতো হয়ে পুংলিঙ্গের নিম্নদিকে যায় । পুংলিঙ্গের বামপাশে কাটার মতো ব্যথা । 


অ্যালুমিনা ( Alumina ) > যৌন আকাঙ্খার বৃদ্ধি অথবা প্রচাপিত । ঘন ঘন রেতঃপাত ও নৈশকালীন লিঙ্গোত্থান । লিঙ্গমুণ্ডের পশ্চাতে অধিক নিঃসরণ । লিঙ্গাগ্র চামড়া থেকে ছাল উঠা ( excoriatem ) । রেতঃরজ্জুতে সংকোচক ব্যথা তার সাথে অণ্ডকোষে সংকোচন । কাঠিন্য ও ব্যথাপূর্ণ অনুভব একটি অণ্ডকোষ । কষ্টকর মলত্যাগের সময় প্রস্টেট গ্রন্থি থেকে রস নিঃসরণ । সঙ্গমের সময় এবং লিঙ্গোত্থান চলাকালে পেরিনিয়ামে ব্যথা । রতিক্রিয়ার পর কষ্টের বৃদ্ধি । সঙ্গমের সময় ও লিঙ্গোত্থান সময়ে পেরিনিয়ামে ঘাম । 


আম্ব্রা গ্রিসিয়া ( Ambra grisea ) > বাহিরের কোন কারণ ছাড়াই যৌনাঙ্গে ইন্দ্রিয় পরিতৃপ্তিকর উত্তেজনা ও চুলকানি । রেতঃরজ্জু অঞ্চলে ও ছোট থলিতে ( vesicle ) জ্বালা । সকালে লিঙ্গোত্থান, তার সাথে যৌনাঙ্গ অসাড় । দুই উরুর মধ্যবর্তী স্থানে কাঁচা ক্ষত । ভীষণ লিঙ্গোদ্রেক সকালে কিন্তু কামোন্মত্ততা সূচক কোন অনুভুতি নেই, সেইসাথে অঙ্গে অবশতা । 


অ্যামোনিয়াম কার্বোনিকাম ( Ammonium carb ) > অত্যধিক যৌন ইচ্ছা, কামবিষয়ক চিন্তা ছাড়া অযথা লিঙ্গোত্থান অথবা যৌন ইচ্ছার অভাব অন্য লিঙ্গের প্রতি বিমুখতা । বারবার কৃত্রিম উপায়ে রেতঃপাত, এবং অণ্ডকোষের মধ্যে সংকোচন, হেঁচড়ানো ও ভারি অনুভুতি । কষ্টকর মলত্যাগের সময় প্রস্টেট গ্রন্থি থেকে রস নিঃসরণ 


অ্যানাকার্ডিয়াম ওরিয়েন্টালিস ( Anacardium ori ) > দিনে উত্তেজনা ছাড়াই লিঙ্গোত্থান । কৃত্রিম উপায়ে রেতঃপাত । অণ্ডকোষে সুখকর চুলকানি । যৌন ইচ্ছার বৃদ্ধি অথবা অউত্তেজনা ( inexcitable ) । সঙ্গমের সময় সুখানুভূতির অভাব । প্রস্রাব ও মলত্যাগের পর প্রস্টেট গ্রন্থি থেকে রস নিঃসরণ । কঠিন মলত্যাগের সময় বীর্য নিঃসরণ । 


এনাগ্যালিস আর্ভেনসিস ( Anagallis arvensis ) > লিঙ্গোত্থানের পূর্বে ও সময়ে মুত্রনালিতে জ্বালা সঙ্গমের সময় উপশম । ডান অণ্ডকোষ ও রেতঃরজ্জুতে টেনেধরা ব্যথা । রেতঃরজ্জুতে ছিন্নকর ব্যথা । সিম্ফাইসিস পিউবিসে শিহরণ । 


Caladium Seg ( ক্যালেডিয়াম ) –– বহু দিন যাবত স্বপ্নদোষ হইতে হইতে লিঙ্গ শিথিল । স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অত্যান্ত প্রবল কিন্তু ক্ষমতাহীন । সহবাসকালে লিঙ্গ শক্ত হয় না,যদিও হয় অল্পতেই বীযপাত হইয়া যায় ।


সেবন ঃ- নিন্ম শক্তি ১০ ফোটা করে সামান্য পানির সঙ্গে প্রত্যহ ৩ বার সেব্য । 


Conium ( কোনিয়াম ) – স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অধিক কিন্তু অক্ষম । সহবাস কালে সোহাগ আলিঙ্গনের সময় লিঙ্গ শিথিল হইয়া পড়ে ।


সেবন - শক্তি ২০০, ১ এম বা আরো উচ্চ শক্তি, ২-৪ মাত্রাই উপকার হয় ।


Lycopodium ( লাইকোপোডিয়াম ) – হস্তমৈথুন স্বপ্নদোষ কিংবা অত্যাধিক স্ত্রী সহবাস জনিত কারনে ধ্বজভঙ্গ, স্ত্রী সোহাগ আলিঙ্গন করিলেও লিঙ্গ শক্ত হয় না ।


সেবন - শক্তি ২০০, ১এম বা আরো উচ্চ শক্তি, ২-৪ মাত্রাই উপকার হয় ।


Selenium ( সিলিনিয়াম ) - শুক্র তারুল্য — ৩, ৩০, ২০০ প্রত্যহ ২-৩ বার সেব্য । 


Agnus Castus ( এগনাস কাস্ট ) - অবৈধভাবে বীর্যক্ষয় করিয়া যাহারা ধজভঙ্গ রোগে আক্রান্ত হইয়া পড়িয়াছে তাদের জন্য ।


সেবন – নিন্ম শক্তি ( মাদার ) - ১০ ফোটা সমান্য পানির সঙ্গে দিনে ৩ বার সেব্য । 


Anacardium ( এনাকার্ডিয়াম ) - স্মরনশক্তিহীন রোগীদের প্রস্রাব কালীন বীর্যপাত হইয়া ধজভঙ্গ রোগ হইলে 


সেবন - ১২/৩০ শক্তি প্রত্যহ ২ বার সেব্য ।


Acid Phos ( এসিড ফস ) –– স্ত্রী সহবাস জনিত মাথা ঘুরা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, লিঙ্গ শিথল, অতি শিঘ্রই বীর্যপাত । 


সেবন – নিন্ম শক্তি ( মাদার ) – ১০ ফোটা সমান্য পানির সঙ্গে ৩ বার আহারের পর সেব্য ।


Corbonium Sulph ( কার্বোনিয়াম সালফ ) - অজান্তে বা অনিচ্ছা সত্ত্বে বীর্যপাত,স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা হয় না ।


সেবন - ৬-৩০ শক্তি প্রত্যহ ৩ বার সেব্য । 


Salix-Nig ( স্যালিক্স নায়গ্রা ) – স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা প্রবল কিন্তু ক্ষমতা হীন । 


সেবন :-নিন্ম শক্তি ( মাদার ) ১০ ফোটা করে সামান্য পানির সঙ্গে প্রত্যহ ৩ বার সেব্য । 


Titanium ( টিটেনিয়াম ) – সঙ্গমে অতি শীঘ্রই বীর্যপাত ও বীর্যপাতলা ।


সেবন :- ৩x প্রত্যহ -২ টি করে ট্যাবলেট দিনে ৩ বার সেব্য । 


Nuphar Lut ( নুপার লুটিয়া ) –– কাম উত্তেজনার কথায় কিংবা উত্তেজনায় অসাড়ে বীর্যপাত । 


সেবন :- নিন্ম শক্তি ( মাদার ) ১০ ফোটা করে সামান্য পানির সঙ্গে প্রত্যহ ৩ বার সেব্য । 


Turnera ( টার্নেরা ) -– শুক্র বর্ধক ওষুধ ।


সেবন :- নিন্ম শক্তি ( মাদার ) ১০ ফোটা করে সামান্য পানির সঙ্গে প্রত্যহ ৩ বার সেব্য । 


Avana Sat ( এভেনা স্যাট ) — হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ বা অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস জনিত শারীরিক দুর্বলতার জন্য উপকারী ।


সেবন :- নিন্ম শক্তি ( মাদার ) ১০ ফোটা করে সামান্য পানির সঙ্গে প্রত্যহ ৩ বার সেব্য । 


Medorrhinum ( মেডোরিনাম ) – গনরিয়া রোগে আক্রান্ত হইয়া ধজভঙ্গ পীড়ায় প্রথমে এ ওষুধ পরে লক্ষ অনুযায়ী অন্য ওষুধ সেবন করিবে ।


Phosphorus ( ফসফরাস ) - সুন্দর লম্বা ছিপছিপে গড়ন, চালাক সমান্য কারনে মন খারাপ । হাঁটতে সামান্য নুয়ে চলে এই ধাতুর রোগী হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ বা অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস বা অসাড়ে শুক্রক্ষরন ইত্যাদি কারনে ধ্বজভঙ্গ ।


সেবন :- ২০০ শক্তি বা ১ এম সকাল বিকাল ২ মাত্রা সেব্য । 


Moschus ( মস্কাস ) – বহুমুত্র রোগী দেহের গড়ন চিকুন চাকুন দুর্বল ক্ষমতাহীন অল্পতেই বীর্যপাত হইয়া যায় ।


সেবন :-– ২০০ শক্তি দিনে ২ বার সেব্য । 


🌽বায়োকেমিক:-

Natrum Mur ( নেট্রাম মিউর ) –– স্ত্রী লোক দেখিলে কথা বলিলে এমন কি মনে মনে ভাবিলেও অসাড়ে বীর্যপাত হয়ে যায় ।


সেবন :- 12x বা আরো উচ্চ শক্তি ৪ বড়ি করে দিনে ২ বার সেব্য । 


Kali Phos ( কেলি ফস ) – অতিরিক্ত বীর্যক্ষয় জনিত অনিদ্রা, কাজ কর্মে অনিচ্ছা, জননেন্দ্রিয় দুর্বলতা ।


সেবন :- 12x বা আরো উচ্চ শক্তি ৪ বড়ি করে দিনে ২ বার । 


Silicea ( সাইলেসিয়া ) – স্বপ্নদোষ, হস্তমৈথুন, অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস ইত্যাদি কুফল এর জন্য


সেবন :- 12x বা আরো উচ্চ শক্তি ৪ বড়ি করে দিনে ২ বার সেব্য । 


চিকিৎসা = এমন সমস্যার জন্য সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে হোমিওপ্যাথি।সো দ্রুত কোনো ভালো রেজিঃ হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের পরার্মশ ও চিকিৎসা নিলে রোগ আরোগ্য হবে ইনশায়াল্লাহ।


ডাঃ মোঃ ফরহাদ হোসেন

D.H.M.S(B.H.B),DHAKA

কনসালট্যান্ট 

হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন


🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿

সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা

ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা  উচিত নয়।

⛳আপনারা যদি মনে করেন লেখাগুলো আপনার জন্য উপকারি তাহলে আরেক ভাইয়ের জন্যও হয়তো উপকারি হবে , আপনি কষ্ট করে লেখাটি শেয়ার করলে অন্য ভাইও লেখা পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। তাই শেয়ার করুন এবং পেজে লাইক বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন। আর এ জন্য ইনভাইট অপসানে গিয়ে বন্ধুদেরকে পেজ লাইকের ইনভাইট পাঠান।মনে রাখবেন জানার কোন শেষ নেই।


📗হোমিওপ্যাথিক টিপস

🌿germanhomoeocare.blogspot.com

☎হেল্পলাইন 🏪01955507911

No comments:

Post a Comment