১১টি ভুল যেগুলো সন্তান জন্মদানের বাধা।

১১টি ভুল যেগুলো সন্তান জন্মদানে বাধা।

🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒

🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒

বন্ধ্যাত্ব কারোর কাম্য নয় তারপরও বিভিন্ন জটিলতায় অনেকে সন্তান জন্মদানে অক্ষম হয়।

একজন পূর্ণাঙ্গ রমণীর ডিম্বাশয় থেকে প্রতি মাসে একটি করে ডিম্বাণু নির্গত হয়। ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রজনন বয়স ধরা হলেও ৩৫ বছরের পর থেকে প্রজনন ক্ষমতা কমতে থাকে। প্রজনন বয়সের শেষ দিকে ডিম্বাণু নিঃসরণ প্রতি মাসে না-ও হতে পারে। প্রজনন বয়সের মধ্যে প্রতি মাসেই একজন মহিলার ২৮ থেকে ৩৫ দিন ব্যবধানে ঋতুস্রাব হয়ে থাকে। ঋতুস্রাব মহিলাদের ডিম্বাণু নিঃসরণের একটি প্রমাণ। যদিও কখনো কখনো ডিম্বাণু নিঃসরণ ছাড়াও ঋতুস্রাব হতে পারে। ২৮-৩০ দিনের ব্যবধানে যাদের ঋতুস্রাব হয় তাদের সাধারণত ১৩তম, ১৪তম ও ১৫তম দিনগুলোর কোনো একসময় ডিম্বাণু নির্গত হয়। এ সময়কে বলে প্রজনন সময়। এ সময়ে স্বামী-স্ত্রীর মিলন হলে স্বামীর শুক্রাণু ও স্ত্রীর ডিম্বাণু ডিম্বনালির প্রায় শেষ প্রান্তে, অম্বুলা নামক জায়গায় মিলিত হলে নিষেক সংঘটিত হয়। নিষেকের ফলে যেটি তৈরি হয় সেটিকে ভ্রূণ বলে। এ ভ্রূণ চক্রবৃদ্ধি হারে বিভক্ত হতে থাকে এবং ডিম্বনালি অতিক্রম করে নিষেকের সপ্তম দিন জরায়ুতে প্রবেশ করে এবং জরায়ুগাত্রে দৃঢ় হয়ে স্থাপিত হয়। পরে এখানেই ধীরে ধীরে বড় হয়ে ২৮০ দিন পরে পূর্ণাঙ্গ মানবশিশু ভূমিষ্ঠ হয়। কিন্তু কোনো দম্পতি এক বছর জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ছাড়া একই সাথে বসবাস ও মিলনের পরও যদি সন্তান ধারণ না করে থাকেন, তাকে ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্ব বলে। এটি হতে পারে প্রাথমিক যাদের কখনোই গর্ভসঞ্চারণ হয়নি অথবা মাধ্যমিক যাদের আগে গর্ভসঞ্চারণের পর এখন আর গর্ভসঞ্চারণ হচ্ছে না। সাধারণত ৮০ শতাংশ দম্পতির চেষ্টার প্রথম বছরের মধ্যেই সন্তান হয়ে থাকে। ১০ শতাংশ দম্পতির দ্বিতীয় বছরের মধ্যে হয়ে থাকে। বাকি ১০ শতাংশের কোনো না কোনো কারণে সন্তান ধারণে অসুবিধা হয়ে থাকে এবং তাদের জন্যই সেপশাল চিকিৎসা দরকার। এই না হওয়ার পেছনে স্বামী-স্ত্রী দুজনের যে-কেউই কারণ হতে পারেন। আবার সমিমলিত অসুবিধার কারণেও হতে পারে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে শুধু স্বামী দায়ী, ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে শুধু স্ত্রী দায়ী এবং ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই দায়ী।

 

🍎একঃঅতিরিক্ত ওজনঃ- অতিরিক্ত ওজন সন্তান না হওয়ার একটি অন্যতম কারণ। এটি শরীরের হরমোনের মাত্রাকে প্রভাবিত করে এবং নারীর সন্তান ধারণ ক্ষমতাকে অত্যন্ত জটিল করে তোলে। এর ফলে নারীর জরায়ুর কার্যক্ষমতাও হ্রাস পায়। #২০০৯_সালের এক গবেষণায় বলা হয়, #১৮_বছর বয়সের যেসব নারী ওজনাধিক্যের সমস্যায় রয়েছেন, তাঁরা জরায়ুর বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হন এবং তাঁদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা কমে যায়।


🍎দুইঃ রুগ্ন শরীরঃ- অতিরিক্ত ওজন যেমন- সন্তান ধারণ ক্ষমতা হ্রাস করে, তেমনি খুব বেশি পাতলা হওয়াও ক্ষতিকর। বেশি চিকন হলে নারীর দেহে #ল্যাপটিন_হরমোনের অভাব হয়। এই হরমোন ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরে এই হরমোনের ঘাটতি হলে ঋতুচক্রের সমস্যা হয়। তাই গবেষকদের মতে, উচ্চতা এবং ওজনের সামঞ্জস্য বজায় রাখুন। সুষম খাদ্য এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন ঠিক রাখুন। এটি নারীর বন্ধ্যত্ব দূর করতে সাহায্য করে।


🍎তিনঃবয়স বেশি হওয়াঃ- যখন নারীর ঋতুচক্র স্বাভাবিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়, তখন সে আর সন্তান ধারণ Child capacity করতে পারে না। ঋতুচক্র একবারে বন্ধ হয়ে যাওয়াকে #মেনোপজ বলে। তবে যদি মেনোপজের ঠিক আগের পর্যায়ে শরীরে ইসট্রোজেন বা প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যায় বা একদমই নিঃসৃত না হয়, তখন তাকে পেরিমেনোপজ বলা হয়। মেনোপজ হয় সাধারণত ৪৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। ৪৫ বছরের আগেই পেরিমেনোপজ হতে পারে। তাই অধিকাংশ চিকিৎসকের মতে, ৩৫ বছরের আগে সন্তান নেওয়া উচিত। এর পরে সন্তান ধারণক্ষমতা কঠিন হয়ে পড়ে।


🍎চারঃবংশগত কারণঃ-যদি আপনার মায়ের মেনোপজ আগে হয়, তবে আপনারও আগে থেকেই মেনোপোজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। নারীরা জন্মায় কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক ডিম্বাণু নিয়ে এবং এই জিনিসটি বেশি হওয়া বা কম হওয়ার পেছনে জিনগত কারণও কাজ করে। এ রকম অনেক কিছুই নির্ভর করে বংশগত কারণে। গবেষকদের মতে, যদি পরিবারে দেরিতে সন্তান ধারণের ইতিহাস থাকে, তবে আপনারও দেরিতে সন্তান হতে পারে।


🍎পাচঃমানসিক চাপঃ- গবেষণায় বলা হয়, যেসব নারী দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকেন, তাঁদের সন্তান ধারণ ক্ষমতা Child capacity অনেক কমে যায়। কারণ, চাপ শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটায়। তবে চাপই এর একমাত্র কারণ নয়। গবেষকদের পরামর্শ, যেসব নারী সন্তান নিতে চাইছেন, তাঁদের চাপ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি শেখা খুব জরুরি।


🍎ছয়ঃমদ্যপানঃ- মদ্যপানে অভ্যস্ত নারীদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি থাকে অনেক। ২০০৪ সালে সুইডিশ বিজ্ঞানীরা ১৮ বছর ধরে মদ্যপান করেন—এমন সাত হাজার নারীর ওপর গবেষণা করে দেখেন, তাঁদের সন্তান ধারণক্ষমতা অনেক কমে গেছে। তাই গবেষকদের পরামর্শ, যদি আপনি সন্তান নিতে চান, তবে অবশ্যই মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।


🍎সাতঃবেশি ব্যায়ামঃ- ব্যায়াম করা আপনার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং শক্তি দেয়। যখন আপনি সন্তান নিতে চাইবেন, এটি খুব জরুরি। তবে আপনি যদি অতিরিক্ত ব্যায়াম করেন, এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যাঁরা দিনে পাঁচ ঘণ্টার বেশি ব্যায়াম করেন, তাঁদের এ আশঙ্কা থাকে।


🍎আটঃথাইরয়েড সমস্যাঃ- থাইরয়েড সমস্যা গর্ভধারণকে ব্যাহত করে। থাইরয়েড হলো এমন একটি গ্রন্থি, যা ঘাড়ের সামনের দিকে নিচের অংশে থাকে। এই থাইরয়েড থেকে অনেক হরমোন নিঃসৃত হয়। থাইরয়েডজনিত কোনো সমস্যা হলেও সন্তান ধারণ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।


🍎নয়ঃক্যাফেইনঃ- আপনি যদি প্রচুর পরিমাণ ক্যাফেইন জাতীয় জিনিস খান, এটি আপনার গর্ভধারণকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। গবেষণায় বলা হয়, যাঁরা দিনে পাঁচ কাপের বেশি কফি পান করেন, তাঁদের এ সমস্যা হয়। তাই সন্তান নিতে চাইলে কফিপান কমিয়ে দেওয়ার পক্ষেই মতামত গবেষকদের।


🍎দশঃযৌন সমস্যাঃ- যৌন বাহিত রোগের কারণেও সন্তান ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। যেমন : সিফিলিস, গনোরিয়া, প্রদাহ ইত্যাদি।


🍎এগারঃস্বাস্থ্যগত সমস্যাঃ- বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যার ফলে বন্ধ্যত্ব হতে পারে। পলিসাইটিক ওভারি সিনড্রোম, সিস্ট, এনডোমিটট্রিওসিস—এসব বিষয় অনেক সময় নারীর বন্ধ্যত্বের জন্য দায়ী। এ ছাড়া রিউমাটোয়েড আর্থ্রাইটিস অনেক সময় এর কারণ হয়। 


উক্ত সমস্যাগুলো রিকোভার করতে পারলে সন্তান ধারন সম্ভব।চিকিৎসকের সাহচর্যে চিকিৎসা করতে হবে।


ডাঃ মোঃ ফরহাদ হোসেন

D.H.M.S(B.H.B),DHAKA

কনসালট্যান্ট 

হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন


🌿--------------------------------------------🌿

সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা

ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা  উচিত নয়।


📗হোমিওপ্যাথিক টিপস

🌿germanhomoeocare.blogspot.com

☎হেল্পলাইন 🏪01955507911


No comments:

Post a Comment