মুখে ঘা এর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

 

Aphthous Ulceration and Homeopathy treatment 

💠Date08/11/2018


👛বারবার মুখে ঘা এর সমস্যায় কম-বেশি অনেকেই ভুগে থাকেন। প্রায় দুইশ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ প্রকাশ পায় মুখগহ্বরে ঘা এর মাধ্যমে। বর্তমান কালের মরণঘাতী রোগ এইডস থেকে শুরু করে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, এমনকি গর্ভাবস্থায়ও অনেক রোগের লক্ষণ মুখের ভেতরে প্রকাশ পায়। মুখের ভেতরের মাংসে বা জিহ্বায় ঘা হয়, ব্যথা করতে থাকে, কিছু খেতে গেলে জ্বলে-এগুলোই মুখে ঘা এর প্রাথমিক লক্ষণ। অনেকের এসবের সাথে সাথে মুখ ফুলে যেতে পারে, পুঁজও বের হয়।


📶কারণসমূহঃ-

⏩পুষ্টির অভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ। ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-১২ অভাবে ঘা হয়। এছাড়াও কৃত্রিম চিনি দ্বারা তৈরী খাদ্য যথা- চকলেট, জুস, কোক, চুইংগাম ইত্যাদি।

⏩ আঘাতের কারনে ক্ষত হলে, সেটা ছোট শারীরিক ক্ষত কিংবা রাসায়নিক ভাবে 

ক্ষত যাই হোক।

⏩ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস, প্রোটোজোয়া ইত্যাদি।

⏩ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া- ক্যামোথেরাপি, HIV ইত্যাদি।

⏩বার বার মুখের ঘা এর পিছনে প্রধান কারণ খারাপ মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি।

⏩ মুখে ক্যানসার হলে যেমন- তামাক (সিগারেট, গুল, জর্দা ইত্যাদি) সেবন করার কারনে স্কুয়ামাস সেল কারসিনোমা নামে হয়।

⏩পাকস্থলিতে গ্যাস্ট্রিক রসের( HCl) বিরুপ প্রভাব এর কারণে মুখে বার বার ঘা দেখা দেয়।

⏩উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রায়ই মুখে ক্ষত তৈরি করে, যদি ভিটামিন বি কম্পেক্স এর সঙ্গে সহযোগী খাবার হিসেবে না দেওয়া হয়।

⏩নির্দিষ্ট  কিছু টুথ পেস্ট, মাউথ ওয়াশ ইত্যাদিতে এলার্জি প্রতিক্রিয়া থাকাতে পারে।

⏩ মানসিক চাপ অনেক সময়ই মুখের ঘা বৃদ্ধি করে (Psychosomatic) ।


📶প্রতিকারঃ-

⏩ভাল মৌখিক এবং দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে হবে।

⏩ মুখের মধ্যে কোনো ফুস্কুড়ি হলে অবহেলা না করে অবিলম্বে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

⏩পুষ্টিকর খাবার, ভিটামিন, খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পূরক খাবার এবং সবুজ শাক-সবজি খেতে হবে।

⏩পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে ( প্রতি দিন কমপক্ষে ১০ গ্লাস )।

⏩গ্যাস্ট্রিকের নজর রাখতে হবে।

⏩ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া উচ্চ মাত্রায় ওষুধ খাওয়া যাবে না।

⏩ইতিবাচক মনোভাব এবং নিয়মিত ব্যায়াম সবার জন্যেই উপকারী।

⏩ অতিরিক্ত ঝাল এড়িয়ে চলা।


হোমিওপ্যাথিক ওষুধ বার বার মুখের ঘা নিরাময় ৩টি পদক্ষেপ কাজ করে-

১. ব্যথা ও দুর্ভোগ দূরীকরণের লক্ষে

২. মৌখিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে

৩. ভবিষ্যৎ পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধে।


📶হোমিওপ্যাথিক ওষুধঃ-

হোমিওপ্যাথি ওষুধ সবচেয়ে জনপ্রিয় রোগ নিরাময়ের একটি পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র ও সদৃশ উপসর্গের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা হয়। এটি উপসর্গ ও জটিলতা মুছে ফেলে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য অবস্থায় রোগীর ফিরে যাবার একমাত্র উপায়। সদৃশবিধানের লক্ষ্য শুধু মুখে ঘা চিকিৎসা নয়, তার অন্তর্নিহিত কারণ ও স্বতন্ত্র প্রবণতা মোকাবেলায়ও সহায়তা করে। স্বতন্ত্র ঔষধ নির্বাচন এবং চিকিৎসার জন্য, রোগীকে একজন যোগ্যতাসম্পন্ন ও রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। মুখে ঘা চিকিৎসার সহায়ক ঔষধগুলো নিম্নরুপঃ-

➰মার্কসল

➰বোরাক্স

➰নেট্রাম মিউর

➰বেলাডোনা

➰সালফার

➰ল্যাকেসিস

➰হিপার সালফ

➰ক্যালি মিউর

➰মার্ক সল

➰ফসফরাস

➰নাক্স ভম

➰নাইট্রিক আসিড


এ ছাড়াও রোগ লক্ষন সাদৃশ্যে অন্য যে কোন ঔষধ আসতে পারে।

🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀


🌿সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা

ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা  উচিত নয়।

⛳আপনারা যদি মনে করেন লেখাগুলো আপনার জন্য উপকারি তাহলে আরেক ভাইয়ের জন্যও হয়তো উপকারি হবে , আপনি কষ্ট করে লেখাটি শেয়ার করলে অন্য ভাইও লেখা পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। তাই শেয়ার করুন এবং পেজে লাইক বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন। আর এ জন্য ইনভাইট অপসানে গিয়ে বন্ধুদেরকে পেজ লাইকের ইনভাইট পাঠান।মনে রাখবেন জানার কোন শেষ নেই ।


📗হোমিওপ্যাথিক টিপস

🌿জার্মান হোমিও কেয়ার

☎হেল্পলাইন 01955507911

No comments:

Post a Comment