কাশির চিকিৎসায় কিছু হোমিওপ্যাথিক ম্যাজিক মেডিসিস

কাশি এবং

কাশির চিকিৎসায় ব্যবহৃত চমৎকার কিছু হোমিওপ্যাথিক রিমেডির সংক্ষিপ্ত বর্ননা।


📁📁📁📁📁📁📁📁📁📁📁📁📁📁

হোমিওপ্যাথিক টিপস এর প্রিয় পাঠকগুন শীতের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে।

শীতকালীন শুকনো বাতাস কাশির জন্য সাধারণত দায়ী। আবার আর্দ্র বাতাসের কারণে অ্যাজমার প্রকোপ এবং ধুলোবালি থেকে অ্যালার্জির কারণে কাশি শুরু হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে আবার কফ জমাট বেধে ভয়ানক কাশিও হয়। সাধারণত ঠান্ডা ও ফ্লুয়ের কারণে কাশি হয়। তবে অ্যালার্জি, অ্যাজমা, এসিড রিফ্লাক্স, শুষ্ক আবহাওয়া, ধূমপান, এমনকি কিছু ওষুধ সেবনের ফলেও এ সমস্যা তৈরি হতে পারে।


করনীয়:-

সহজে যাতে এ থেকে মুক্ত থাকা যায় তা নিম্নে বর্ধীত হল। ১. বেশি পরিমান ঠান্ডা পানি ব্যবহার থেকে দুরে থাকুন। ২. যেহেতু এটি ছোয়াচে তাই আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে দুরে থাকুন। ৩. গরম পানি ব্যবহারে অভ্যস্ত হন। ৫. বুকে যেন ঠান্ডা বাতাস না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখুন। বিশেষ করে যারা খোলা গাড়ি ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রে। মোটর সাইকেল আরোহী, ইজি বাইক আরোহী, রিক্সা আরোহী ইত্যাদি। ৬. শীতকালিন ফল যেমন কামরাঙ্গা, জলপাই টক জাতিয় ফল বেশি বেশি করে খাবেন।

🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒

কাশির চিকিৎসায় ব্যবহৃত কার্যকরী হোমিওপ্যাথিক ঔষধসমূহের বর্ননা:-এখানে স্পেশালী আমি যে মেডিসিন গুলো ব্যবহার করি সেগুলোর ব্যবহার দেওয়া হয়েছে


Spongia tosta – স্পঞ্জিয়া

স্পঞ্জিয়া ঔষধটি শুকনা কাশিতে প্রযোজ্য। সাধারণত গলার ভিতরটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে থাকে। কাশি দিলে ড্রামের মতো আওয়াজ হয়। মারাত্মক কাশি, শ্বাস নেওয়ার সময় অসুবিধা হয়, হিসহিস শব্দ হয়। মিষ্টি খেলে, ঠান্ডা পানি পানে, ধূমপানে, মাথা নীচু করে শুইলে, মাঝরাতের পূর্বে এবং ঠান্ডা শুকনা বাতাসে কাশি বৃদ্ধি পায়। পক্ষান্তরে গরম পানি বা গরম খাবারে কাশির মাত্রা কমে যায়। হৃদরোগের সাথে সম্পর্কিত কাশিতে এটি বেশী ফলপ্রদ।


Bryonia alba – ব্রায়োনিয়ার

ব্রায়োনিয়ার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগীর ঠোট-জিহ্বা-গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে থাকে এবং প্রচুর পানি পিপাসা থাকে এবং রোগী অনেকক্ষণ পরপর একসাথে প্রচুর ঠান্ডা পানি পান করে। রোগী অন্ধকার এবং নড়াচড়া অপছন্দ করে ; কারণ এতে তার কষ্ট বৃদ্ধি পায়। কোষ্টকাঠিন্য দেখা দেয় অর্থাৎ পায়খানা শক্ত হয়ে যায়। রোগীর মেজাজ খুবই বিগড়ে থাকে এবং সে একলা থাকতে পছন্দ করে। কাশি দিলে মনে হয় মাথা এবং বুক টুকরো টুকরো হয়ে ছিঁড়ে যাবে।


Drosera rotundifolia – ড্রসেরা

ড্রসেরার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো গলার মধ্যে সাংঘাতিকভাবে সুড়সুড় করতে থাকে, কাশতে কাশতে দমবন্ধ না হওয়া এবং বমি না হওয়া পযর্ন্ত কাশি থামতে চায় না, কাশির সময় বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়ার কারণে শিশুরা দুহাতে বুক চেপে ধরে, কাশি মধ্য রাতে বৃদ্ধি পায় এবং শুয়ে থাকলে বৃদ্ধি পায়, কাশতে কাশতে মুখ নীল হয়ে যায়, দিন্তরাতে অন্তত দশ-পনের বার কাশির দমকা উঠে। ড্রসেরাকে ঘনঘন খাওয়াতে হ্যানিম্যান নিষেধ করেছেন। কেননা তাতে কাশি বেড়ে গিয়ে বিপদ ডেকে আনতে পারে।


Hepar sulph – হিপার সালফ

হিপার সালফের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো ঠান্ডা এবং শুকনা বাতাসে কাশি বৃদ্ধি পায়, ঠান্ডা পানি পান করলে বৃদ্ধি পায়, মধ্যরাতে এবং সকালের দিকে বৃদ্ধি পায়। হালকা থেকে মারাত্মক যে-কোন কাশিতে হিপার উপযুক্ত। কিন্তু শুকনা কাশি অর্থাৎ যে কাশিতে বুকে কোন কফ জমে নাই, তাতে হিপার দিয়ে কোন লাভ নাই।


Sambucus nigra – স্যাম্বুকাস

শুকনো অথবা বুকে গড়গড়ানি শব্দযুক্ত কাশি উভয়টিতে স্যাম্বুকাস প্রযোজ্য হতে পারে। কাশির সাথে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, দমবন্ধ অবস্থায় রোগী হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে ওঠে, কাশির চোটে মুখের রঙ নীল হয়ে যায়, শোয়া থেকে উঠে বসে যায়, খুব কষ্ট করে টেনে টেনে দম নিতে চেষ্টা করে, দম নিতে পারে কিন্তু দম ছাড়তে পারে না। কাশির দমকা এক সময় চলে যায় কিন্তু কিছুক্ষণ পরপর আবার ফিরে আসে। ঘুমের মধ্যে শরীর শুকনা থাকে কিন্তু ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর প্রচণ্ড ঘামতে থাকে। বিছানায় শুয়ে থাকলে, ঘুমিয়ে থাকলে, মধ্যরাতে, মধ্যরাতের পরে, ভোর ২-৩ টার দিকে, ঠান্ডা বাতাসে, ভয় পেলে বা আবেগপ্রবন হলে কাশি বৃদ্ধি পায়।


Ipecac – ইপিকাক

ইপিকাকের প্রধান লক্ষণ হলো বমি বিম ভাব এবং পরিষ্কার জিহ্বা। হালকা কাশি থেকে নিউমোনিয়া, হুপিং কাশি এবং হাঁপানির মতো মারাত্মক কাশিতেও ইপিকাক দিতে পারেন যদি উপরোক্ত লক্ষণ দুইটি কারো মধ্যে বিদ্যমান থাকে।


Aconitum napellus – একোনাইট ন্যাপ

যে-কোন ধরনের কাশি হউক না কেন, যদি প্রথম থেকেই মারাত্মক আকারে দেখা দেয় অথবা কাশি শুরু হওয়ার দু’চার ঘণ্টার মধ্যে সেটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে, তবে একোনাইট হলো তার এক নাম্বার ঔষধ। একোনাইটের রোগকে তুলনা করা যায় ঝড়-তুফান্তটর্নেডোর সাথে- অতীব প্রচণ্ড কিন্তু ক্ষণস্থায়ী। কাশিও যদি তেমনি হঠাৎ করে মারাত্মক আকারে শুরু হয়, তবে একোনাইট সেবন করুন। কাশির উৎপাত এত বেশী হয় যে তাতে রোগী মৃত্যুর ভয়ে কাতর হয়ে পড়ে।

🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿

সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা

ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা  উচিত নয়।

⛳আপনারা যদি মনে করেন লেখাগুলো আপনার জন্য উপকারি তাহলে আরেক ভাইয়ের জন্যও হয়তো উপকারি হবে , আপনি কষ্ট করে লেখাটি শেয়ার করলে অন্য ভাইও লেখা পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। তাই শেয়ার করুন এবং পেজে লাইক বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন। আর এ জন্য ইনভাইট অপসানে গিয়ে বন্ধুদেরকে পেজ লাইকের ইনভাইট পাঠান।মনে রাখবেন জানার কোন শেষ নেই ।


📗হোমিওপ্যাথিক টিপস

🌿জার্মান হোমিও কেয়ার

☎হেল্পলাইন 01955507911

No comments:

Post a Comment