সেক্সুয়াল কাউন্সেলিং এবং হোমিওপ্যাথিক সলিউশান

লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যার প্রতিকার ও হোমিওপ্যাথিক প্রতিবিধান 

🏪🏪🏪🏪🏪🏪🏪🏪🏪🏪🏪🏪🏪🏪🏪

সেক্স থেরাপি বা সেক্সুয়াল কাউন্সিলিং যদিও পুরুষকে ঘিরে তথাপি সেক্স পার্টনারের সহযোগিতা এবং সক্রিয় অংশগ্রহণও একটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সেক্স পার্টনারের সঙ্গে কলহ, মনের মিল না থাকা,একজন অন্যজনকে তীব্রভাবে সন্দেহ করা, ঘৃণা,বিদ্বেষ,ক্ষোভ ইত্যাদি থাকলে অবশ্যই দক্ষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।


লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যার প্রতিকার :-


লিঙ্গ উত্থানজনিত নানা সমস্যার প্রতিকারের ক্ষেত্রে প্রথমত যা করা দরকার তা হল অন্তরঙ্গ সম্পর্ক স্থাপন বা যৌনমিলনের পূর্বে রিলাক্সড বা শিথিল থাকা। যৌন দুশ্চিন্তা এড়িয়ে চলা। বিবাহের প্রারম্ভিক পর্যায়ে স্ত্রীর সঙ্গে নানা ধরনের যৌন আচরণে পুরুষের মনে অনেক ধরনের ভয়-ভীতি বিরাজ করতে পারে। তাদের উচিত সম্পর্কে স্বাচ্ছন্দ্য,সাবলীল এবং স্বাস্থ্যকর দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা।


যৌনতা সম্পর্কে নেতিবাচক অনুভূতিগুলো এবং মনোভাবগুলো যৌন সম্পর্ক স্থাপনের পূর্বে ধীরে ধীরে মন থেকে সরিয়ে ফেলা দরকার। সেক্সূয়াল অন্তরঙ্গতা বা যৌনমিলনের পূর্বে স্ত্রীর সঙ্গে যৌন উত্তেজনাকর নানা ধরনের খোলামেলা আলাপচারিতা, সোহাগী ভঙ্গিতে স্ত্রীকে আদর করা এবং একে অপরের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করা ইত্যাদি লিঙ্গ বা পেনিসের উত্থানকে দৃঢ় করবে।


যে কথাটি মনে রাখা প্রয়োজন তা হলো -যৌন আচরণ মানে কেবলমাত্র যৌন সঙ্গম নয়। এটি যৌন আচরণের একটি অংশ। আপনি এবং আপনার সেক্স পার্টনার যদি যৌনমিলনের পূর্বে প্রেম নিবেদনের সময় একে অপরের সঙ্গে খোলামেলা যৌন আলাপে এবং হাল্কামাত্রার হাসি-ঠাট্রামূলক খেলাচ্ছলে যৌনক্রীড়া করেন তবে এটি আপানাদের স্ট্রেস বা মনোদৈহিক চাপ এবং যৌন দুশ্চিন্তা কমাতে অনেক সহায়তা করবে। এতে করে আপনি এবং আপনার পার্টনার যৌনমিরনের আগের চেয়ে অনেক বেশি সুখবর অনুভূতি সঞ্চার করতে পারে।


বয়োঃবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ইরেকশনে একটু সমস্যা হওয়া বা একবার ইরেকশন হওয়ারপর তা ধরে রাখা একটু কষ্টকর হতে পারে। তথাপি যৌনমিলনের পূর্বে ফোরপ্লে বা যৌনক্রীড়া বা যৌনক্রীড়া এবং যৌনমিলনের উপযুক্ত মানসিক পরিবেশ আপনার লিঙ্গ উত্থানকে অব্যাহত রাখবে।


লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যার মেডিকেশন বা ওষুধ :-


যেসকল মেডিকেশন বা ওষুধের মাধ্যমে লিঙ্গ উত্থান ঘটতে পারে সেগুলো মূলত পুরুষত্বহীনতার মূল ডায়াগনোসিস বা কারণে ওপর নির্ভর করে। রক্তসংবহনতন্ত্র বা ভাসকুলার,হরমোনাল স্নায়ুতন্ত্র সম্পর্কীয় বা সাইকোলজিক্যাল (মনোগত কারণ) যে কারণে লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা হয় এদের প্রত্যেকটিরই খুব ভালো চিকিত্‍সা ব্যবস্থাপনা রয়েছে। আমরা চিকিত্‍সা জীবনে দেখেছি ওষুধ চিকিত্‍সা পাশাপাশি বেশিরভাগ রোগীকে সেক্সুয়াল কাউন্সিলিং(সাইকোথেরাপি) এবং সেক্স থেরাপি বেশ ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখে। অবশ্য এসব ক্ষেত্রে দৈহিক কারণের পাশাপাশি মানসিক কারণও দায়ী থাকতে পারে।


লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যাটি যদি ওষুধ সেবনজনিত কারণে হয়ে থাকে তবে আপনার ডাক্তার ওষুধের ডোজ পরিবর্তনের কথা ভাবতে পারেন অথবা ওষুধ বদলিয়ে অন্য কোনো গ্র'পের ঔষধ প্রেসক্রাইব করতে পারেন। ওষুধ সেবনজনিত কারণে যদি সাময়িকভাবে আপনার লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা ঘটে তবে হুট করে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত ওষুধ সেবন বন্ধ করে দেবেন না। প্রকৃত অর্থেই ওষুধ সেবনের জন্য এই সমস্যা হচ্ছে কিনা তা অভিজ্ঞ ডাক্তারই বলতে পারবেন।


ওষুধ দিয়ে চিকিত্‍সার মূল উদ্দেশ্য হল :-


মেডিকেশন বা ওষুধ জনিত কারণে ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থানের তারতম্য ঘটলে ওষুধ নতুন করে এডজাস্ট করতে হবে বা নতুন কোনো ওষুধ দিয়ে তাতে পরিবর্তন আনতে হবে।


ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থান ঘটাতে সহায়তা করে এমন ওষুধ দিয়ে পেনিস বা লিঙ্গে রক্ত প্রবাহ বাড়াতে হবে।


যৌনমিলনের পূর্বে লিঙ্গের উত্থান নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বিশেষত পারফরমেন্স এ্যাংজাইটি কমাতে হবে। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে সেই বিশেষকালীন কি দুশ্চিন্তায় লিঙ্গ উত্থান নাও হতে পারে।


আপনার রক্তে হরমোনের লেবেল বিশেষত টেস্টেস্টেরন থাইরয়েড হরমোন ইত্যাদি পরীক্ষা করে দেখা দরকার। পরীক্ষা করে যদি অস্বাভাবিক হরমোন লেবেল পরিলক্ষিত হয় তাহলে হরমোনাল থেরাপির প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। অবশ্য হরমোনের তারতম্যজনিত কারণে লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা খুব বেশি একটা পাওয়া যায় না।


আপনি যদি এ ধরনের কোন সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বিস্তারিত সমস্যা আমাদের জানালে আমরা অবস্থার আলোকে আপনাকে যথাযথ সমাধান দিব। আমরা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় এ বিষয়ে বিশেষ পারদর্শী। দেশে এবং বিদেশে আমাদের হাজার হাজার শুভাকাঙ্খী রয়েছেন যারা আমাদের চিকিৎসায় পরিপূর্ণ সুস্থতা লাভ করে সুখী যৌন জীবন উপভোগ করছেন। অল্প কিছু দিনের প্রপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় আপনিও চিরদিনের জন্য যৌন সংক্রান্ত রোগ সমূহ থেকে মুক্তি পেতে পারেন ইনশাল্লাহ। 

🏪🏪🏪🏪🏪🏪🏪🏪🏪🏪🏪🏪🏪🏪🏪

🌽হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ-প্রাকৃতিক, বিশুদ্ধ ও নিরাপদ চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে হোমিওপ্যাথি। 

হোমিওপ্যাথিতে যৌন সমস্যা সম্পূর্ন ভাল হয়।

যৌন সমস্যার বিভিন্ন স্তরে লক্ষন সাদৃশ্যে বিভিন্ন ঔষধ আসতে পারে।পর্যাক্রম:-

💻হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধসমূহ:- 

🎯Caladium Seg

🎯Lycopodium

🎯Agnus Castus

🎯Acid Phos

🎯Avana Sat

🎯Medorrhinum

🎯Moschus

🎯Salix Nig

🎯Titanium

🎯Nuphar Lut

🎯Turnera

🎯Selenium

🎯Merc Sol

🎯Canabis Sat


💻নির্ধারিত হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলোর সংক্ষেপে মানষিক লক্ষনসমূহ:-

🎯Caladium Seg(ক্যালেডিয়াম)– বহু দিন যাবত স্বপ্নদোষ হতে হতে লিঙ্গ শিথিল। স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অত্যান্ত প্রবল কিন্তু ক্ষমতাহীন।সহবাসকালে লিঙ্গ শক্ত হয় না, যদিও হয় অল্পতেই বীযপাত হয়ে যায়।

🎯Lycopodium(লাইকোপোডিয়াম)- হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ অথবা অত্যাধিক স্ত্রী সহবাসের কারনে ধ্বজভঙ্গ, স্ত্রীকে সোহাগ আলিঙ্গন করলেও লিঙ্গ শক্ত হয় না।

🎯Agnus Castus ( এগনাস কাস্ট ) - অবৈধভাবে বা অপব্যবহারের ( Abuse ) মাধ্যমে  বীর্যক্ষয় করে যারা ধজভঙ্গ রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাদের জন্য।

🎯Acid Phos(এসিড ফস) - স্ত্রী সহবাস জনিত মাথা ঘুরা, স্মৃতি শক্তি হ্রাস ( Loss of memory ), লিঙ্গ শিথল ( Relax penis ), অতি শিঘ্রই বীর্যপাত।

🎯Avana Sat ( এভেনা স্যাট ) -  হস্তমৈথুন (Musterbation ), স্বপ্নদোষ ( Night pollution ) বা অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস জনিত শারীরিক দুর্বলতার জন্য উপকারী।

🎯মেডোরিনাম:-বংশগত সাইকোসিসের পরিচয়।সবসময় গরমবোধ, বরফ খাইবার ইচ্ছা। 

মেডোরিনাম ঔষধটাকে অন্য নামে বলা হয় দ্য গনোরিয়্যাল ভাইরাস। 

মেডোর রোগী চুলকানির কথা চিন্তা করলে বৃদ্ধি ও রাএিকালীন বৃদ্ধি। 

মেডোতে মেজাজ দিনের বেলায় খিটখিটে, কিন্তুু রাএিতে বেশ প্রফুল্ল। এবং সারা শরীরে পোকা হাঁটার অনুভূতি।গনোরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ধজভঙ্গ পীড়ায় প্রথমে এ ওষুধ পরে লক্ষন অনুযায়ী অন্য ওষুধ সেবন করবেন।

🎯Moschus(মস্কাস) - বহুমুত্র রোগী, যাদের দেহের গড়ন চিকুন, দুর্বল ও ক্ষমতাহীন তাদের অল্পতেই বীর্যপাত হয়ে গেলে। সময়ও কিংবা শুধু যৌনমিলনের সময়ও।

🎯Salix Nig(স্যালিক্স নায়গ্রা) - স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা প্রবল কিন্তু ক্ষমতা হীন।

🎯Titanium ( টিটেনিয়াম ) - সঙ্গমে অতি শীঘ্রই বীর্যপাত ও বীর্য পাতলা।

🎯Nuphar Lut ( নুপার লুটিয়া ) - কাম উত্তেজনার কথায় বার্তায় কিংবা উত্তেজনায় অসাড়ে বীর্যপাত।

🎯Turnera(টার্নেরা) - শুক্র বর্ধক ওষুধ।

🎯Selenium(সিলিনিয়াম) -শুক্র তারুল্যে -মেটেরিয়া মেডিকা আবশ্যক।

🎯Merc Sol - সিফিলিস চিকিৎসায় প্রথম ওষুধ হচ্ছে মার্ক সল। সিফিলিসের দ্বিতীয় পর্যায়ের অধিকাংশ লক্ষণ মার্ক সলের অনুরূপ। নরম ক্ষত (chancres)ও ব্যথা সহ জ্বর থাকে যা রাতে বৃদ্ধি পায়। সব ধরনের স্রাব দুর্গন্ধ যুক্ত এবং বেশি হয়। রাতে হাড়ের মধ্যে বিরক্তিকর ব্যথা থাকে।

🎯ক্যানাবিস স্যাট:-ইহার বিশেষ অনুভূতি লক্ষণ যেন ফোঁটা ফোঁটা জল পরিতেছে। অতিরিক্ত পরিশ্রম করার ন্যায় ক্লান্ত ভাব। আহারের পর ক্লান্ত হইয়া পড়ে।

ভীষণ কোষ্ঠবদ্ধতার সহিত প্রস্রাব বন্ধ। আঙুল মচকাইবার পর আঙুল খেঁচিয়া থাকা। সিড়িতে উঠিতে গিয়া হাটুর প্যাটেলার স্থানচ্যুতি। গিলিবার সময় শ্বাসকষ্ট, খাদ্যবস্তু শ্বাসনলীপথে প্রবেশ করা।প্রমেহর তরুণ ও প্রাদাহিক অবস্থা । মূত্রনলীর বেদনা হেতু পা ফাঁক করিয়া চলা। যন্ত্রনাদায়ক লিঙ্গোদ্গম। শ্লেষ্মা বা পূঁজে মূত্রনলী বন্ধ। চক্ষে কুয়াসা মত দর্শন। ছোট বালিকাদের শ্বেতপ্রদর। মূত্র নলীতে ভয়ানক যন্ত্রনা, জ্বালা, কামড়ানো, নালীমূখ হইতে পশ্চাতে যায়, বিশেষত মূত্র ত্যাগের সময়। অশ্রুবিদারক বেদনা মূত্রনলীর মধ্যে আঁকাবাকা ভাবে যায়। কথা বাধিয়া যায়। চিন্তা এবং বাক্য গুলাইয়া যায়। অসংলগ্ন ভাবে দ্রুত কথা বলে। শয্যাভীতি। শিরঃঘূর্ণন। নাকের গোড়ায় চাপবোধ। সুরাপান জনিত স্নায়বিক দুর্ব্বলতা । ধূমপানের ফলে চক্ষুছানি। কয়েকধারে বিভক্ত হইয়া মূত্রপাত। মূত্রপথে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মাংসল গাঁজ জন্মে। অত্যধিক দৈহিকশক্তি ব্যবহার হেতু স্বল্পঋতু। ভীতিপদ স্বপ্ন। পায়ের ডিমে ও বৃদ্ধাঙ্গুলের তলদেশের পীড়া। সিঁড়িদিয়া উপরে উঠিলে ও শয়নে রোগের বৃদ্ধি ।

নোট:-লক্ষন সাদৃশ্যে ঔষধের ভিন্নতা আছে।


🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿

সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা

ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা  উচিত নয়।

⛳আপনারা যদি মনে করেন লেখাগুলো আপনার জন্য উপকারি তাহলে আরেক ভাইয়ের জন্যও হয়তো উপকারি হবে , আপনি কষ্ট করে লেখাটি শেয়ার করলে অন্য ভাইও লেখা পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। তাই শেয়ার করুন এবং পেজে লাইক বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন। আর এ জন্য ইনভাইট অপসানে গিয়ে বন্ধুদেরকে পেজ লাইকের ইনভাইট পাঠান।মনে রাখবেন জানার কোন শেষ নেই ।


📗হোমিওপ্যাথিক টিপস

🌿জার্মান হোমিও কেয়ার

☎হেল্পলাইন 🏪01955507911

No comments:

Post a Comment