পিত্ত পাথরীর হোমিওপ্যাথিক ব্যবস্হাপনা

🌿হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাসহ আলোচনা।

🎸বিষয়:-সার্জিকাল ডিজিজ সমূহ~~

🌿সাধারনত যে সার্জিকাল ডিজিজ গুলো সচরাচর হয় সেগুলো হল:-

🎸একিউট এপেনডিসাইটিস।

🎸পিত্ত থলিতে পাথর।

🎸টিউমার ও সিস্ট।

🎸হাইড্রোসিল।

🎸হার্নিয়া।

🎸ভেরিকোজ ভেন।

🎯আজকের আলোচনায় থাকছে ২য় পয়েন্টটি অথাৎ পিত্তথলির পাথর, কারণ, লক্ষণ, রোগ নির্ণয়, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা :- 

Gallstones, Causes, Symptoms, Diagnosis, Homeopathy treatment and Management :-

🌳পিত্তথলির পাথর আসলে ছোট ছোট বালুর দানার মতো থেকে শুরু করে মটরের দানা বা তার চেয়েও বড় শক্ত দানাদার বস্তু, যা বিভিন্ন রঙের ও বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে। এটা নির্ভর করে কী পদার্থ দিয়ে পাথরটা তৈরি তার ওপর। কোলেস্টেরল, বিলিরুবিন বা ক্যালসিয়াম ইত্যাদি পদার্থের সংমিশ্রণে তৈরি এই পাথরগুলো পিত্তরসের সঙ্গে মেশানো অবস্থায় থাকে এবং হালকা বাদামি, ময়লাটে সাদা বা কুচকুচে কালো রঙেরও হতে পারে। পেটের ডানদিকে যকৃতের পেছনে ও তলার দিকে থাকে পিত্তথলি। পিত্তরস তৈরি করাই এর কাজ। খাবার হজমে, বিশেষ করে চর্বিজাতীয় খাবার হজম করতে পিত্তরস দরকার হয়। নানা কারণে এই পিত্তথলিতে বিভিন্ন পদার্থ অতিরিক্ত জমে গিয়ে পাথরের সৃষ্টি করে

🌿পিত্ত পাথর হওয়ার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলিঃ-

🎈বয়স - বেশি বয়স (বিশেষত ৬৫ বছরের পরে)।

🎈পথ্য - পাশ্চাত্য খাদ্য উচ্চ শক্তি, উচ্চ চর্বি, উচ্চ মিহি কার্বোহাইড্রেট, কম ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া।

🎈এনজাইম অপূর্ণতা - যেমন, সিকল সেল এনিমিয়া এবং কিছু অন্যান্য জেনেটিক পরিবর্তন।

লিঙ্গ - স্ত্রীলিঙ্গ।

🎈হরমোনের ভারসাম্যহীনতা - যেমন গর্ভাবস্থা বা ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে।

🎈ঔষধ - ইস্ট্রজেন, ইনসুলিন, জন্মবিরতিকরণ বড়ি বা পিল, কোলেস্টাইরামিন।

🎈স্থূলতা - বিশেষ করে সর্বোচ্চ তাহলে BMI (বডি মাস ইন্ডেক্স) থাকলে।

🎈ওজন হ্রাস - দ্রুত ওজন হ্রাস বা ক্র্যাশ খাবার খেলে।

🎈পারিবারিক ইতিহাস - পরিবার ইতিহাসে পিত্তপাথর থাকলে হতে পারে।

নারী পুরুষে তারতম্য-  পুরুষদের চেয়ে নারীদের পিত্তাসয়ের পাথর হওয়ার সম্ভাবণা দ্বিগুণ।পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে কীনা সেটা 

আলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে জেনে নেওয়া সম্ভব।

পিত্তথলিতে পাথর  জনিত সমস্যায় প্রথমেই টাবলেট জাতীয় ওষুধের বা অপারেশানের দিকে ঝুঁকে না গিয়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিলে সমস্যা থেকে উত্তরন সম্ভব।

🌿হোমিওপ্যথিক ঔষধ :-

পিত্তথলির পাথর জনিত  সমস্যায় সাধারনত যে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ গুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলো হলঃ-

🏠Natrum sulphuricum

🏠Calcarea carbonica

🏠Lycopodium

🏠Chelidonium 

🏠Nux vomica

🏠Cholesterinum

🏠Carduus marianus

🏠Berberis vulgaris

🏠China off

🏠Ceanothus


🌿হোমিওপ্যথিক চিকিৎসাঃ-অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন কয়েকটি হোমিওপ্যাথিক ঔষধের প্রধান প্রধান লক্ষন দেওয়া হলঃ-


🎈Natrum sulphuricum – একাধিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা – পিত্তাসয়ের পাথর, দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া, হাঁপানি, COPD (ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ), স্থূলতা, হাড়ের জোড়াই রোগ, বিষণ্নতা। আবহাওয়া পরিবর্তন এবং আর্দ্রতায় মাত্রাতিরিক্ত সংবেদনশীল।


🎈Calcarea carbonica – পারিবারিক ইতিহাসে পিত্তাসয়ের এবং কিডনি পাথর; মাত্রাতিরিক্ত ওজনের; উচ্চ কলেস্টেরল এবং গ্রাইসেরাইডস; ক্রনিক বা পুরাতন কোষ্ঠকাঠিন্য। কুঁড়ে এবং উদ্বিগ্ন।


🎈Lycopodium – পারিবারিক ইতিহাসে পিত্তাসয়ের এবং কিডনি পাথর; অন্যান্য ক্রনিক হজমজনিত সমস্যা – গ্যাস্ট্রিক, পাকস্থলীর ক্ষত, কোষ্ঠকাঠিন্য, উচ্চ কলেস্টেরল। সামান্য খাওয়ার পরেই পেট বেশি ফোলা উঠা বা পেট পূর্ণ হওয়া। লিভার জনিত ব্যথা বেশিরভাগ বিকালে ঘটে বিশেষ করে বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। খিটখিটে, অসঙ্গতি ঘৃণা করে কিন্তু তার রাগ চাঁপা দিয়ে রাখে।


🎈Chelidonium- ব্যথা উপরের ডান পেটে হয় যা পিছনে ছড়িয়ে যায়, ব্যথা ডান কাধেঁর পাখনার নিচে হয়।


🎈Nux vomica – অম্বল বা বুকজ্বলা, বমি বমি ভাব, পেট ফোলে উঠা; সংকোচনশীল বা মোচড়ানো ব্যথা, আকস্মিক


🏠নোটঃ-এভাবে বাকি ঔষধগুলো স্ট্যাডি করলে পিত্তপাথরি জনিত সমস্যায় সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করা সম্ভব।হোমিওপ্যাথিক টিপস এ বাকি ঔষধগুলোর আলাদা আলাদাভাবে বর্ননা দেওয়া আছে। সবাই ভাল থাকবেন,শুভকামনা সবসময়।


🌿সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা

ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা  উচিত নয়।

⛳আপনারা যদি মনে করেন লেখাগুলো আপনার জন্য উপকারি তাহলে আরেক ভাইয়ের জন্যও হয়তো উপকারি হবে , আপনি কষ্ট করে লেখাটি শেয়ার করলে অন্য ভাইও লেখা পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। তাই শেয়ার করুন এবং পেজে লাইক বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন। আর এ জন্য ইনভাইট অপসানে গিয়ে বন্ধুদেরকে পেজ লাইকের ইনভাইট পাঠান।মনে রাখবেন জানার কোন শেষ নেই ।

🌿হোমিওপ্যাথিক টিপস

🌿জার্মান হোমিও কেয়ার

🌿হেল্পলাইন 01955507911

No comments:

Post a Comment