স্মৃতিশক্তি কমার কারন,পথ্য,দিক নির্দেশনা ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

📝স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া একটি বিরক্তিকর মানষিক সমস্যা।শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্কের পুষ্টির জন্য সুষম খাবার অত্যন্ত জরুরি। মস্তিষ্ক সঠিক পুষ্টি না পেলে অনেক ক্ষেত্রেই স্মৃতিভ্রমসহ আরও নানান সমস্যা দেখা দেয়।


তবে খাদ্যাভ্যাস ছাড়াও আরও বেশ কিছু কারণে দুর্বল স্মৃতিশক্তির সমস্যা দেখা দিতে পারে।


অপর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন মানুষের শরীরের বিশ্রামের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম অত্যন্ত জরুরি। 


খাদ্যাভ্যাস: একবারে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া এবং অনেক দেরি করে খাবার খাওয়া, দুটি অভ্যাসই মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। টানা ১২ ঘণ্টা না খেয়ে থাকা মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে রাতের খাবার এবং সকালের নাস্তার মধ্যকার সময়ের পার্থক্যও বেশ উল্লেখযোগ্য। তাই সুস্থ মস্তিষ্কের জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে ‍তুলতে হবে।


একাকিত্ব: যারা একাকিত্ব অনুভব করেন অথবা সমাজ থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখেন তাদের স্মৃতিশক্তি কমার ঝুঁকি রয়েছে। তবে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন। কারণ একাকিত্বের কারণে রোগ নাকি এই রোগের কারণে একাকিত্ব তৈরি হয় তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে।


বংশগত সমস্যা: পরিবারে কারও যদি আলৎঝাইমার’স রোগ আগে হয়ে থাকে তাহলে এর ঝুঁকি কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পায়।


উচ্চ রক্তচাপ: শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য উচ্চ রক্তচাপ অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। 


🎄পথ্য ও দিক নির্দেশনা:-


কফি

এক পরীক্ষার মাধ্যমে এটি প্রমাণিত হয়েছে যেখানে অংশগ্রহণকারীদের কিছু ছবি দেখিয়ে পরবর্তীতে অনেক ছবির মাঝে তাদেরকে দেখানো ছবি খুঁজে বের করতে বলা হয়েছিল। এই পরীক্ষার ফলাফল থেকেই বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, কোন কিছু মনে রাখতে হলে তার আগে কফি খাওয়ার চেয়ে পরে খাওয়া বেশি উপকারী।


ব্যায়াম

ব্যায়াম স্মৃতি মনে করিয়ে দিতে সাহায্য করে:

ইঁদুর আর মানুষের উপর পরীক্ষা করে জানা গেছে যে নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম আমাদের স্মৃতি উদঘাটনে সহায়তা করে। মস্তিষ্কের যে অংশ দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি ধরে রাখার কাজ করে সেটির নাম হল হিপোক্যাম্পাস।


ঘুম

ঘুম স্মৃতিকে পাকাপোক্তভাবে সংরক্ষণ করতে সহায়তা করে।স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য ঘুম একটি কার্যকরী উপায়। কোন কিছু মনে রাখার প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে বলা হয়েছিল ঘুমের মধ্যে স্মৃতিকে সংরক্ষণ করার প্রক্রিয়াটি ঘটে। রাতের ঘুমের পাশাপাশি কাজের মধ্যে সামান্য ঘুমও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।


এছাড়াও সাকশব্জি,কফি,বাদাম,জাম,সামুদ্রিক মাছ,স্টবেরি,গমের রুটি,মাঠা বা ঘোল ইত্যাদি খাদ্য খেলে স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পায়।


🎄হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা:-

লক্ষন সাদৃশ্যে নীচের ঔষধগুলো ব্যবহার 

করা যেতে পারে

এনাকার্ডিয়ামঃ-হঠাৎ স্মৃতি শক্তি লোপ এই মাত্র বলিয়া দিলে একটু পরেই ভুলিয়া যায়।কিছুই মনে রাখিতে পারে না।কোন রোগ ভোগের পর স্মরন শক্তি কমিয়া গেলেও বালক বা যুবকদের স্মরণ শক্তি হ্রাস হলে এনাকার্ডিয়াম অব্যর্থ।এনাকার্ডিয়ামরোগী মনে করে তাহার পিছনে একটি দেবদুতের প্রভাব রয়েছে,সে তার দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে।ছাত্ররা পরীক্ষার আগে পড়া ভুলিয়া যায়।পরীক্ষায় ফেলের আশঙ্কা করে।পরীক্ষার পনের দিন পূর্ব হতে এনাকর্ডিয়াম খেলে পরীক্ষায় ফেল করার ভয় কেটে যায়,এবং স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।


ক্যালি ফসঃ-এই মাএ বলিয়া দিন পরক্ষণেই ভুলিয়া যায়।লিখিবার সময় বানান ভুল করে সর্ব প্রকার স্মরণ শক্তি হ্রাসে ক্যালি ফস প্রধান ঔষধ।

এছাড়াও ল্যাক ক্যান,ব্যারাইটা কার্ব,লাইকোপডিয়াম,কানাবিশ ইন্ডিকা রোগীর লক্ষন সাপেক্ষে ব্যবহার করা যেতে পারে।


ডাঃ মোঃ ফরহাদ হোসেন

D.H.M.S(B.H.B),DHAKA

কনসালট্যান্ট 

হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন


আরো টিপস পেতে আমার ইউটিউব চ্যানেলের লিংকটি কপি করে গুগলে সার্চ দেন ভিডিওগুলো ভাল লাগলে সাবসক্রাইব করবেন।

🌿Youtube channel link

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2232868203628141&id=100007149490083


🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿

সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা

ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা  উচিত নয়।

⛳আপনারা যদি মনে করেন লেখাগুলো আপনার জন্য উপকারি তাহলে আরেক ভাইয়ের জন্যও হয়তো উপকারি হবে , আপনি কষ্ট করে লেখাটি শেয়ার করলে অন্য ভাইও লেখা পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। তাই শেয়ার করুন এবং পেজে লাইক বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন। আর এ জন্য ইনভাইট অপসানে গিয়ে বন্ধুদেরকে পেজ লাইকের ইনভাইট পাঠান।মনে রাখবেন জানার কোন শেষ নেই।


📗জার্মান হোমিও কেয়ার

🌿germanhomoeocare.blogspot.com

☎হেল্পলাইন 🏪01955507911

No comments:

Post a Comment