টনসিলের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি

 অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ৫ টি হোমিওপ্যাথিক ওষুধসহ

🍄🍄🍄🍄🍄🍄🍄🍄🍄🍄🍄🍄🍄🍄🍄


📘টন্সিল কী?

♦টনসিল হচ্ছে দুটি লিম্ফনোড।

মুখের পিছনে এবং গলার উপর দিকে অবস্থিত। এর কাজ হল রোগ প্রতিরোধ করা। এরা ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণুকে বের করে দিয়ে দেহকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।


♦টন্সিল এর কাজ কি?

এটি শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে. তাদের উদ্দেশ্য সংক্রমণের কবল থেকে দেহকে রক্ষা করা।তারা রক্ষী হিসেবে কাজ করে এবং শরীরের শ্বসনতন্ত্র বা পাচনতন্ত্র যা আরো গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ সিস্টেমে প্রবেশন সাথে কোন ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস থামাতে কাজ করে.


♣টনসিল কেন হয়?

♦মাঝে মাঝে এই প্রতিরক্ষা ফাংশন যখন দুর্বল হয়ে যায় তখন টন্সিল স্ফীত এবং ব্যথা শুরু হয়।এই অবস্থায় টনসিল ফুলে যায়।

♦অন্যন্ন কারণসমূহ

♠জনাকীর্ণ স্থানে বসবাস, কাজ, এবং অবস্থান করলে

♠ধূমপানে।

♠ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী অসুখ থাকলে।


♣লক্ষণসমূহ:-


♦গিলতে কষ্ট হয়, কানে ব্যথা, জ্বর এবং ঠাণ্ডা অনুভূত হওয়া, মাথা ব্যথা, গলায় ক্ষত, চোয়াল এবং গলায় স্পর্শকাতরতা, গলার দুই পাশের গ্রন্থি বা লিম্ফনোড বড় হয়ে যাওয়া, গলায় সাদা বা হলুদ দাগ থাকতে পারে, শিশুদের মধ্যে ক্ষুধামন্দা 

নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা, টনসিল খুব বড় হলে খাবার খেতে বা পান করতে সমস্যা হতে  পারে।

♣পরীক্ষাঃ-


* CBC-তে শ্বেত রক্তকণিকা বাড়া প্রকাশ পায়।নিশ্চিত হলে আরো কিছু পরীক্ষা করা লাগতে পারে।


♣হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা:-


♦হোমিওপ্যাথি টনসিলের জনপ্রিয় চিকিৎসা ব্যবস্থা। বিবিসির তথ্য মতে, দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহন করেন।

🐦🐦🐦🐦🐦🐦🐦🐦🐦🐦🐦🐦🐦🐦🐦

 ♣সহায়ক গুরুত্বপূর্ন ৫টি হোমিওপ্যাথিক  ঔষধের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিম্নে দেওয়া হল—


♦Hepar Sulph- শুনতে সমস্যা সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী টনসিল; গলায় মাছের কাঁটা থাকার মতো অনুভূতি; গলা সেলাই মতো অনুভূতি, যা কান পর্যন্ত বিস্তৃত।


♦Baryta Carb- প্রত্যেকবার ঠাণ্ডার পর টনসিল প্রদাহ হলে, খাবার গিলতে গেলে গলায় অস্বস্তি অনুভব হলে, গলায় প্লাগের মতো বেদনা অনুভূত হলে।


♦Belladonna- টনসিল প্রদাহ, অংশবিশেষ উজ্জ্বল লাল থাকে। গিলার সময় মনে হয় গলা খুবই সরু হয়ে গেছে। রক্ত সঞ্চয়ের লক্ষণ। তরল খাবার খেতেই বেশি খারাপ অবস্থা হয়। ডান টনসিল সবচেয়ে আক্রান্ত হয়।


♦Calcaria Phos- মধ্য কর্ণের প্রদাহসহ দীর্ঘস্থায়ী টনসিল প্রদাহ; গলা ব্যথা গিলার সময় অনেক বৃদ্ধি পায়


♦Silicea- গভীর ক্ষত, এমনকি পচা ঘা বা গ্যাংগ্রিন হয়; টনসিল ফুলে গলাধকরণে বাঁধা তৈরি করে; টনসিল প্রদাহ, গ্রন্থিতে পুঁজ তৈরি হয়, যা সহজে আরোগ্য হয় না; গলায় পিন থাকার মতো অনুভূতি, যা গলা কাশি ঘটায়; গলার বাম পাশে বেশি ঘটে।

লক্ষন সাদৃশ্যে আরো ঔষধ আছে।সাধারনত যেই ঔষধের লক্ষনগুলো বেশি পাওয়া যায় সেগুলোই দেওয়া হয়েছে।

🐠🐠🐠🐠🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🐠🐠🐠🐠

🌿সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা

ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা  উচিত নয়।

⛳আপনারা যদি মনে করেন লেখাগুলো আপনার জন্য উপকারি তাহলে আরেক ভাইয়ের জন্যও হয়তো উপকারি হবে , আপনি কষ্ট করে লেখাটি শেয়ার করলে অন্য ভাইও লেখা পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। তাই শেয়ার করুন এবং পেজে লাইক বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন। আর এ জন্য ইনভাইট অপসানে গিয়ে বন্ধুদেরকে পেজ লাইকের ইনভাইট পাঠান।মনে রাখবেন জানার কোন শেষ নেই ।


📗হোমিওপ্যাথিক টিপস

☎অনলাইন পরামর্শের জন্য

☎হেল্পলাইন 01955507911

No comments:

Post a Comment