কিডনি ডিজিজ

🍀কিডনি নিয়ে যত প্রশ্ন আছে তার উত্তর এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার বেসিক রুট।
📑📑📑📑📑📑📑📑📑📑📑📑📑📑📑
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন আপনারা?নিশ্চয় ভাল।বেশ কিছুদিন ধরে চিন্তা করছি কিডনি নিয়ে একটা পোস্ট দেব যাতে করে সবাই কিডনি ডিজিজ বিষয়ক সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যায়। ব্যস্ততার কারুনে পারছিলামনা।যাইহোক আজকে বেশকিছু সময় সেভিং করেছি তো বন্ধুরা আসুন প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে এর খুটিনাটি জানি এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার একটা বেসিক বেস দাড় করাই।
📘📘📘📘📘📘📘📘📘📘📘📘📘📘📘
🌴কিডনি কী?
💠কিডনি আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আমাদের শরীরের তলপেটের বিপরীত দিকে ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যরে মুষ্টি আকৃতির দুটি কিডনি থাকে। কিডনি, হার্ট, ফুসফুস, মস্তিষ্ক, লিভার প্রভৃতি অঙ্গের কাজের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত
সাধারণত মানুষের শরীরে দুটি কিডনি থাকে। কিডনি পেটের ভিতরে, পিঠের দিকে, মেরুদন্ডের দু পাশে কোমরে অবস্থিত। কিডনি দেখতে সিম বিজের মত এবং আকারে হাতের মুঠোর মত হয় ✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
🌴কিডনির প্রয়োজনীয়তা?
💠কিডনি আমাদের শরীরের রক্ত পরিশোধন করে, শরীরে তরল ও ধাতবের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করে। কিডনি লোহিত রক্ত কনিকা তৈরিতে এবং হাড়ের সাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
🌴কিডনির রোগের লক্ষণ কি?
💠কিডনির রোগের লক্ষণ অনেক প্রকারের হয় আর তা রোগের প্রকার এবং গভীরতার উপর নির্ভর করে। সব থেকে বেশি দেখতে পাওয়া লক্ষণ গুলি হলো মুখমণ্ডলের ফোলাভাব (বিশেষ করে সকালে), খুদামন্দা, বমিভাব, কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ, দুর্বলতা, মুত্রের পরিমান কমে যাওয়া, মুত্র ত্যাগের সময় জ্বলন বা অসুবিধা, মূত্রে রক্তের উপস্থিতি ।
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
🌴কখন একজন উচ্চ রক্ত চাপ যুক্ত ব্যক্তির কিডনির রোগের ব্যাপারে সন্দেহ করা হয়?
💠যদি খুব কম বয়সে উচ্চ রক্ত চাপ হয় ( ৩০ বছর বা তারও কম) , যদি নির্ণয়ের সময়ে রক্তচাপ অত্যাধিক বেশি থাকে, যদি রক্তচাপ সাধরণ ব্যবহৃত ওষুধের দ্বারা নিয়ন্ত্রণে না আসে।
যে কোনো মানুষেরই কিডনির রোগ হতে পারে। তথাপি যারা অনেক দিন ধরে উচ্চ রক্ত চাপ বা diabetes এ ভুগছেন বা দীর্ঘ দিন ধরে যন্ত্রনা নিবারক ওষুধের সেবন করে চলেছেন তাদের কিডনির রোগ হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বংশগত কিডনির রোগ থাকলে বা মুত্র নালীর জন্মগত কোনো সমস্যা থাকলে কিডনির রোগ হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
🌴কিডনির রোগ নির্ণয় করার জন্য সাধারনত কোন কোন পরীক্ষা করাতে পরামর্শ দেওয়া হয়?
💠ডাক্তারগুন রোগীর রোগের উপর নির্ভর করে উপযুক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দেন। মুত্রের পরীক্ষা, সিরাম ক্রিয়েটিনিন এবং আল্ট্রাসনোগ্রাফি দ্বারা পরীক্ষা হলো সর্বাধিক প্রচলিত বা গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা ।
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
🌴কিডনি ফেলিউর কী?
💠কিডনির পরিশোধন বা রেচন ক্ষমতা কমে যাওয়া কে কিডনি ফেলিউর বলে।
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
🌴কিডনি ফেলিউরের নির্ণয় কিভাবে করা হয়?
💠সিরাম ক্রিয়েটিনি, Blood Urea Nitrogen এবং EGFR হলো সর্বাধিক প্রচলিত কিডনি ফেলিউর এর রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি।কিছু বিশেষ কিডনির রোগে সাধারণ পদ্ধতির দ্বারা রোগ নির্নয় করা সম্ভব হয় না। সেই সব রোগীর ক্ষেত্রে কিডনি বায়োপসি হলো একমাত্র রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি।
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
🍍🍍🍍🍁🍁🍁🍍🍍🍍🍁🍁🍁🍍🍍🍍
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
🎪হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ-সাধারানত লক্ষনবেচে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করা হয়।রোগীর শারীরিক মানষিক সম্যাগুলোর স্টেটমেন্ট  নিয়ে ঔষধ নির্বাচন করা হয়।বেসিক ধারনার জন্য কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় ব্যবহৃত কিছু ঔষধের সংক্ষেপে লক্ষন দেওয়া হল:-

🔥Nux vomica – নাক্স ভমিকা পেট ব্যথার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। খাওয়া-দাওয়ার কোন গন্ডগোলের কারণে পেট ব্যথা হলে এটি প্রয়োগ করতে হয়। গলব্লাডার বা কিডনী রোগ যে-কারণেই পেট ব্যথা হোক না কেন। শীতকাতর এবং বদমেজাজী লোকদের বেলায় এটি ভালো কাজ করে।

🔥Urtica urens – আর্টিকা ইউরেন্স কিডনীর পাথরের একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। নিয়মিত খেলে পাথর ছোট হতে থাকে এবং প্রস্রাবের সাথে অটোমেটিকভাবে বেরিয়ে যায়।

🔥একোনাইট নেপিলাস:ঠান্ডা লেগে, শীতকরিয়া জ্বর,জ্বালাকর কষ্টক প্রস্রাব,
অস্হিরতা,ছটফটানি,মৃত্যুভয় ইত্যাদি লক্ষণযুক্ত রোগীর একোনাইট নেপিলাস উপযোগী।

🔥এপিস মেল:-কোমরে কিডনিতে বেদনা ,চাপে বা গরমে বেদনা বাড়ে।ঠান্ডায় আরাম পায়।প্রস্রাব কম মাঝে মাঝে বন্ধ থাকে।সর্বশরীরে ফোলা বা শোধ।চোখের নিচের পাতা অধিক ফোলা,পিপাসাহীন,চর্ম শুষ্ক, ইত্যাদি লক্ষণে এপিস মেল জরুরী প্রয়োজন।

🔥বার্বারিস ভলগারিস:-কোমরে কিডনিতে সুচ ফোটানো বেদনা,জ্বালাযুক্ত বেদনা,বাম কিডনিতে বেদনা বেশী,চাপে টিপিলে বাড়ে,নড়াচড়ায় বাড়ে।কষ্টকর প্রস্রাব ইত্যাদি লক্ষণ যে রোগীর মাঝে পাওয়া যাবে তাকে জরুরী বারবারিস ভলগারিস দেয়া প্রয়োজন।

🔥লাইকোপোডিয়াম:-ডান বা বাম কিডনিতে বেদনা সেই বেদনা লিঙ্গে বা পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।বিকাল ৪টা হইতে রাত ৮টার মধ্যে রোগ বারে।মুত্রে ইটের গুড়ার মত তলানি জমে এমন রোগীর জন্য লাইকোপোডিয়াম উপযোগী।

🔥মার্ক সল:-এক বা উভয় কিডনিতে বেদনা সেই বেদনা মাঝে মাঝে মুত্র থলিতে ও উরুতে যায়।রোগী নরাচরায় কাতর হয়,চিৎ হইয়া শুইলে বাড়ে,অল্প প্রস্রাব,ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ, জ্বালা ও কোথানি থাকে তবে রোগীর জন্য মার্ক সল উপযোগী।

🔥Silicea – সাইলিশিয়া ঔষধটি কিডনী বা মূত্রথলির পাথরে ব্যবহার করতে পারেন বিশেষত যাদের বাতের সমস্যা আছে।
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
🎯বাইয়োকেমিক চিকিৎসা:-

🔥কেলিমিউর:-যারা কনসট্রিপেশানে ভোগে বিশেষত কোষ্ঠ বদ্ধ জিহ্বা সাদা রোগীর কিডনির বেদনায় কেলিমিউর উপযোগী।

🔥ক্যালকেরিয়া সালফ:-স্পেশালী যারা রক্ত স্বল্পতায় ভোগে অথাৎ রক্তস্বল্পতা দুর্বল রোগীর প্রস্রাবে ক্ষয় কোমর বেদনায় ক্যালকেরিয়া সালফ উপযোগী।

উক্ত রিমেডিগুলোর মেটেরিয়া মেডিকা আয়ত্ব করতে পারলে সামগ্রিক চিকিৎসা আরো সহজতর হবে।তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। ভাল লাগলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন।
🐠🐠🐠🐠🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🐠🐠🐠🐠
🌿সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা
ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা  উচিত নয়।
⛳আপনারা যদি মনে করেন লেখাগুলো আপনার জন্য উপকারি তাহলে আরেক ভাইয়ের জন্যও হয়তো উপকারি হবে , আপনি কষ্ট করে লেখাটি শেয়ার করলে অন্য ভাইও লেখা পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। তাই শেয়ার করুন এবং পেজে লাইক বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন। আর এ জন্য ইনভাইট অপসানে গিয়ে বন্ধুদেরকে পেজ লাইকের ইনভাইট পাঠান।মনে রাখবেন জানার কোন শেষ নেই ।

📗জার্মান হোমিও কেয়ার
📑পরামর্শের জন্য
☎হেল্পলাইন 01955507911

No comments:

Post a Comment