রিকেটস রোগের কারণ,লক্ষন ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

রিকেট রোগের কারণ,লক্ষন ও 📷হোমিওপ্যথিক চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা।

🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼

ভিটামিন ডি–র অভাবে শিশুদের রিকেট রোগ হয়। এই রোগে মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। হাড় যথাযথ পুষ্টি না পাওয়ার ফলে মজবুত হয় না। রিকেট রোগাক্রান্ত শিশুদের পা ধনুকের মতো বেঁকে যায় এবং মাথার খুলি বড় হয়ে পড়ে। চলাফেরায় অসুবিধা হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ এ রোগে ভুগলে দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যায়। দেহে ভিটামিন ডি–র অভাবে দাঁত খারাপ হয়, অসময়ে দাঁত পড়ে যায়, চোয়ালের গঠন ঠিক হয় না, এমনকি শিশুরা স্বাভাবিক লম্বা হয় না।

এ ছাড়া ভিটামিন ডি–র অভাবে শিশুদের রিকেট রোগের মতো বড়দেরও অস্টিও ম্যালেসিয়া নামে এক প্রকার রোগ হয়। এই রোগে বয়স্কদের হাড় থেকে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস ক্ষয় হয়ে পড়ে। এই রোগকে ‘অ্যাডাল্ট রিকেটও’ বলা হয়ে থাকে। হাঁটাচলায় অসুবিধা এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ।

🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼

 ধীরে ধীরে পা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং হাতের ওপর ভর করে চলতে হয়। কখনো কখনো কোমরে ও মেরুদণ্ডে বাতের ব্যথার মতো ব্যথা অনুভূত হয়। অনেক ক্ষেত্রে মেরুদণ্ড বেঁকে যায়। গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়ের এ রোগ বেশি হতে দেখা যায়। সে জন্য গর্ভকালে খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকা দরকার।

সাধারণত ভিটামিন ডি প্রাণিজ খাদ্যেই বেশি পাওয়া যায়। তৈলাক্ত মাছ, যেমন কড বা হাঙর মাছের যকৃতের তেল এবং অন্যান্য প্রাণীর যকৃতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এ ছাড়া দুধ, ডিমের কুসুম, মাখন ও চর্বিযুক্ত খাদ্যে ভিটামিন ডি থাকে। যেসব প্রাণী মাঠে চরে বেড়ায় এবং প্রচুর সূর্যালোক পায়, ওই সব প্রাণীর দুধ, ডিম ও যকৃতে ভিটামিন ডি–র পরিমাণ বেশি থাকে। তার তুলনায় মায়ের বুকের দুধে ভিটামিন ডি–র পরিমাণ কম থাকে।

খাদ্য উৎস ছাড়াও সূর্যালোক দেহে ভিটামিন ডি তৈরিতে সাহায্য করে। আমাদের চামড়ার নিচে কোলেস্টেরল নামক এক প্রকার তৈলাক্ত পদার্থ আছে। সূর্যের আলো ত্বকে পড়লে এর অতিবেগুনি রশ্মি চামড়ার ভেতরে প্রবেশ করে। সেখানে কোলেস্টেরলের সংস্পর্শে এসে ভিটামিন ডি তৈরি করে। এ জন্য শিশুদের প্রতিদিন কিছুক্ষণ রোদে শুইয়ে রাখলে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। বাংলাদেশে বারো মাস সূর্যের আলো পাওয়া যায় এবং অধিকাংশ মানুষ দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে কাটায়। সে জন্য ভিটামিন ডি–র অভাবজনিত সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ইদানীং অনেকে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে সময় কাটান। তাই ভিটামিন ডি–র ঘাটতি দেখা যায় তাঁদের শরীরে। নিয়ম করে প্রতিদিন কিছুক্ষণ রোদে হাঁটলে ভিটামিন ডি–র চাহিদা মেটানো সম্ভব।।

🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼

📷পথ্য:-রিকেটি শিশুকে প্রাতে ও সন্ধ্যায় কিছুক্ষণ সূর্যকিরণে থাকিতে ও বালির স্তূপ করিয়া খেলা করিতে দিবেন । প্রত্যহ বিশুদ্ধ বায়ু সেবনের জন্য বাহিরে আনা এবং ঠাণ্ডা জলে আস্তে আস্তে গা মুছিয়া দেওয়া আবশ্যক । পেটের অসুখ থাকিলে – শটী-ফুড, বার্লি, এরারুট, অল্প পরিমাণে ছাগল দুধ, গ্ল্যাকসো, অল্প মিছরি, বেদনার রস এবং সহ্য হইলে খুব পুরাতন সরু চাউলের সুসিদ্ধ ভাত, কাঁচাকলা ও পটলের তরকারি, ক্ষুদ্র মৎস্যের ঝোল এবং অন্যান্য বলকারক দ্রব্য আহারের বন্দোবস্ত করিবেন ।


যাহাতে বেশ ভাল হজম ও প্রত্যহ স্বাভাবিক মলত্যাগ হয়, সে বিষয়ে সর্বাগ্রে লক্ষ্য করিতে হইবে, বেদনা প্রভৃতি ফলের রস, সহ্যমত স্নান, খাঁটি সরিষার তৈল কিম্বা অলিভ-অয়েল গরম করিয়া প্রায় ২ ঘণ্টাকাল শরীরে উত্তমরূপে মর্দন, রৌদ্র ও বাতাস খেলে এরূপ ঘরে বাস প্রভৃতি এই পীড়ায় বিশেষ উপকারী।


📷হোমিওপ্যথিক চিকিৎসা:- ডাঃ সুসলারের মতে – ক্যাল্কেরিয়া ফস এই পীড়ার প্রধান ঔষধ । মাথায় ঘাম, অস্থির অপুষ্টি, দুর্গন্ধ বাহ্য, অত্যন্ত শীর্ণতা ও দুর্বলতা প্রভৃতি লক্ষণে – সাইলিসিয়া এবং অম্লের লক্ষণ থাকিলে অর্থাৎ টক বমি টকগন্ধ বাহ্য প্রভৃতিতে – নেট্রাম-ফস বিশেষ উপকারী । হোমিওপ্যাথিতে কোন রোগের কোন পেটেন্ট ঔষধ নাই, তাই লক্ষণ সদৃশে ক্যাল্কেরিয়া-কার্ব, ক্যালি-ফস, ক্যালি-হাইড্রো, পালসেটিলা, অ্যাসিড-ফ্লোর, সিফিলিনাম, ফসফরিক-অ্যাসিড, ব্যারাইটা-কার্ব, আর্সেনিক, নেট্রাম-মিউর, সোরিনাম, এব্রোটেনাম, সার্সাপ্যারিলা, আয়োডাম, সালফার ইত্যাদি ।

 এসাফিটিডা > অস্থির বক্রতা, অস্থি পাতলা নরম, স্ক্রফুলা, অপরিষ্কার শিশুদের গ্ল্যাণ্ডের বিবৃদ্ধি, সমস্ত শরীরে বেদনা, শিশুকে কাপড় বা প্যান্ট পরাইতে গেলে চিৎকার করে ।


★ ব্যারাইটা-কার্ব > শিশু খর্বকায়, গঠন পূর্ণ হয় না, গ্ল্যাণ্ড ফোলে, গ্ল্যাণ্ড শক্ত, পেট শক্ত ও ফোলাভাব, মাথায় কানে নাকে খুস্কি, চোখে প্রদাহ, মুখ ফোলা, শরীর শীর্ণ তথাচ বেশ খায় ।


★ কষ্টিকাম > ঠিকভাবে চলিতে পারে না, একটুতেই পড়িয়া যায়, অস্থি কাঁপে ঠাণ্ডা বাতাস সহ্য হয় না, নড়াচড়া করিলেই প্রচুর ঘাম হয় ।


★ অ্যাসিড-ফ্লোর > লম্বা অস্থিসমূহের পীড়া, কেরিজ, নেক্রোসিস, রোগী সোরাধাতুবিশিষ্ট কিম্বা পারদদোষ থাকে, গলগণ্ড, শীর্ণতা, মাংস-পেশী নরম ও থলথলে, গায়ের রঙ পাঁশুটে, হাত পা যেন ভিজা ।


★ গেটিসবার্গ – সল্ট ( Gettysbarg ) > ছোট ছেলেমেয়েদের মেরুদণ্ডের বক্রতা, বক্র মেরুর প্রত্যেক পার্শ্বে স্ফোটক, গাঁটে বেদনা, কটা কিম্বা কাদা রঙের প্রস্রাব, প্রত্যেক ঋতু পরিবর্তনেই পীড়িত হয়, হাড় খুব বৃদ্ধি ও তাহাতে ক্ষত হয়, ইহার প্রস্রাব জলের মত তরল এবং দুর্গন্ধ । উদরাময় ও হেকটিক জ্বর হয় ।


★ ক্যালি-হাইড্রো > গ্ল্যাণ্ডের বিবৃদ্ধি, হাড়ের ফোলা, মাথার খুলীর উপর শক্ত চামড়া ( Lump ), ফোলা, দাঁতের ধ্বংস, সমস্ত প্রত্যঙ্গে কাটা ছোঁড়ার মত তীক্ষ্ণ বেদনা, অস্থিবন্ধনীর অর্থাৎ টেগুণের অকস্মাৎ স্পন্দন ও সঙ্কোচন, মাথায় স্পর্শাসহিষ্ণু বেদনা, অত্যন্ত খিটখিটে ও ভীত ।


★ অ্যাসিড – ফস > শিশু খুব শীঘ্র শীঘ্র বাড়ে, দুর্বলতা বশতঃ সমস্ত বস্তুতেই তাচ্ছিল্যভাব, বিমর্ষ ও পীড়িত

দেখায়, বেদনাবিহীন উদরাময়, চলিলে টলিয়া পড়ে, বেদনাশূন্য গ্ল্যাণ্ডের ফোলা, প্রত্যঙ্গ ঠাণ্ডা ও ভিজামত ।


★ রুটা > এঁকে বেঁকে চলে, যেন উরুতে বেদনা এবং উরুতে কিছুমাত্র বল নাই । নিম্নাঙ্গ কিছুতেই স্থির রাখিতে পারে না, শুইয়া অনবরত এদিক ওদিক করে । চর্ম সহজেই ফাটে, শীতে ও বর্ষায় বৃদ্ধি ।


★ সাইলিসিয়া > ব্রক্ষরন্ধ্র ফোলা, সমস্ত শরীর শীর্ণ, মাথাটা খুব বড়, মুখ মলিন, পেট ফোলা, পেট গরম, গোড়ালি ভীষণ দুর্বল, মাথায় টকগন্ধ, প্রচুর ঘাম, শরীর শুষ্ক ও দুর্গন্ধ উদরাময়, মলে অজীর্ণ খাদ্য, বেদনাশূন্য । অস্থির প্রদাহ, ফোলা, অস্থির ক্ষত, নেক্রোসিস, স্ফোটক প্রভৃতি । রোগী অনেক বিলম্বে আরোগ্য হয় ( সাইলিসিয়ার পর গণ্ডমালাতে – হেক্লা-লাভা উপকারী ) ।


★★ মেরুদণ্ডের বক্রতা > ক্যাল্কেরিয়া, লাইকো, প্লাম্বাম, সাইলি, সালফার, রাসটক্স, থুজা ।


★★ লম্বা অস্থির বক্রতা এবং গাঁট ফোলা > আর্ণিকা, এসাফিটিডিকা, ক্যাল্কেরিয়া, সাইলিসিয়া, সালফার ।


★★ ব্রক্ষরন্ধ্র অনেকদিন খোলা থাকে জোড়ে না > ক্যাল্কেরিয়া, ক্যাল্কেরিয়া-ফস, পালসেটিলা, সাইলিসিয়া ।


★ সালফার > ব্রক্ষরন্ধ্র অনেক বিলম্বে জোড়ে, মলিন মুখ, চক্ষু বসা, চোখের ধারে লাল দাগ, স্ক্রফুলা, উদরাময়, মলদ্বার হেজে যায়, বোধ হয় যেন উদর কোন খাদ্য ধারণ করিতে পারিতেছে না, ঘাড়ের হাড়ের মড় মড় শব্দ হয়, মেরুদণ্ড বেঁকে যায়, মেরুদণ্ডের হাড় নরম, গ্ল্যাণ্ড শক্ত হয় কিম্বা পাকে । শিশু বা মাতা সোরা ধাতু হইলে ইহা আরও অধিক উপকারী ।


★ এঙ্গাষ্টিউরা > হজমশক্তির গোলযোগ, অম্ল হয়, জিহ্বায় ময়লা, পেট ফোলে, অনেকটা পরিমাণে সাদা রঙের তরল বাহ্য হয়, সমস্ত গাঁট মট মট করে, সমস্ত শরীরের দুর্বলতা, কেরিজ – তাহাতে ভীষণ বেদনা ।


🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿

সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা

ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা  উচিত নয়।

⛳আপনারা যদি মনে করেন লেখাগুলো আপনার জন্য উপকারি তাহলে আরেক ভাইয়ের জন্যও হয়তো উপকারি হবে , আপনি কষ্ট করে লেখাটি শেয়ার করলে অন্য ভাইও লেখা পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। তাই শেয়ার করুন এবং পেজে লাইক বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন। আর এ জন্য ইনভাইট অপসানে গিয়ে বন্ধুদেরকে পেজ লাইকের ইনভাইট পাঠান।মনে রাখবেন জানার কোন শেষ নেই।


📗হোমিওপ্যাথিক টিপস

🌿জার্মান হোমিও কেয়ার

☎হেল্পলাইন 🏪01955507911

No comments:

Post a Comment