হার্নিয়া কী?হার্নিয়ার কারণ,লক্ষন,রোগ নির্নয়,প্রতিরোধ ও হোমিওপ্যাথিক প্রতিবিধান।

হার্নয়া এমন একটি পরিচিত রোগ যাতে নাড়িভূড়ির একটি অংশ উদরগ্রাত্র ভেদ করে অণ্ডথলিতে নেমে যায়। মানুষের পেটের ভিতরে খাদ্যনালী মুখ থেকে পায়ু পর্যন্ত বিস্তৃত, এবং এটি বিশ থেকে ত্রিশ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়৷ হার্নিয়ার ক্ষেত্রে পেটের কিছু দুর্বল অংশ দিয়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের অংশ বিশেষ অণ্ডথলিতে চলে আসে৷ তখন কুচকি এবং অণ্ডথলি অস্বাভাবিক ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়৷


কারণ:-

আমাদের পেটের কিছু অংশ আছে যেগুলো আশেপাশের অংশ থেকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল থাকে৷ অনেকের জন্মগতভাবে এ অংশগুলো দুর্বল থাকে৷ পেটের ভিতরের চাপ যদি বেশি হয়, যেমন-অনেক দিনের পুরানো হাঁচি, কাশি বা কোষ্ঠকাঠিন্য আছে, তাদের বেলাতেও ক্ষুদ্রান্ত্র এই দুর্বল অংশগুলো দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারে৷ উদর এবং উরুর সংযোগ স্থলে হার্নিয়া হতে পারে৷ এটা সাধারণত পুরুষদের হয়৷ মহিলাদের বেলাতে উরুর ভেতরের দিকে স্ফীত দেখা যায়৷ নাভির চারপাশে বা কোনো একপাশে ফুলে যায়৷ এটাকে নাভির হার্নিয়া বলা হয়৷ পূর্বে অস্ত্রোপাচার করা হয়েছে এমন জায়গাতেও হার্নিয়া হতে পারে৷ এটাকে ইনসিশনাল হার্নিয়া বলা হয়৷ ভারী জিনিস তুলতে গিয়ে হতে পারে৷ পুরুষদের প্রস্টেটের অসুখ, মুত্রাশয়ের অসুখের কারণে হতে পারে৷ চাপ দিয়ে প্রস্রাব করলে হতে পারে৷ প্রসবের পর ভারি কাজ বা অনবরত সিঁড়ি ভাঙলে হার্নিয়া হতে পারে।


কার হতে পারে :- যে কোনো বয়সের নারী বা পুরুষের হার্নিয়া হতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে কুঁচকিতে হার্নিয়া বেশি হয়ে থাকে।


কুঁচকিতে হার্নিয়া বেশি হওয়ার প্রাথমিক কারণ হলো, অন্ত্রথলি যেখানে শুক্রাশয় জমা হয়, তা নিচের দিকে ঝুলে থাকা। মেয়েদের ক্ষেত্রে সাধারণত উরুর উপরাংশে হার্নিয়া হয়ে থাকে।

পরিত্রাণের উপায় : চিকিৎসা ছাড়া হার্নিয়া ভালো হয় না, যদিও কয়েক মাস বা এক বছরে হার্নিয়া খুব একটা খারাপ অবস্থায় উপনীত হয় না। অত্যন্ত ব্যথাযুক্ত এক ধরনের হার্নিয়া আছে, যা থেকে তুলনামূলকভাবে সহজে পরিত্রাণ পাওয়া যায় এবং তা স্বাস্থ্যের জন্যও আশঙ্কাজনক নয়, একে রিডিউসিবল হার্নিয়া বলে। আর এক ধরনের হার্নিয়া রয়েছে যা হতে পরিত্রাণ পাওয়া অনেকটাই কষ্টসাধ্য। একে ননরিডিউসিবল হার্নিয়া বলে। এ ধরনের হার্নিয়া জীবনের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, বিশেষ করে যখন উন্মুক্ত অংশে অন্ত্রের কোন অংশ আটকে যায় বা রক্ত চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে। 


রোগ নির্ণয়:-

সাধারণত শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে ইনগুইনাল হার্নিয়া নির্ণয় করা হয়। চিকিৎসক কুঁচকির এলাকার ফোলা পরীক্ষা করে অনেক সময় হার্নিয়া নির্ণয় করেন। যেহেতু কাশি দিলে হার্নিয়া অধিক স্পষ্ট হয়ে দেখা দেয়, তাই কাশি দেয়াটাও চিকিৎসকে পরীক্ষার একটা অংশ হতে পারে।


জটিলতা:-

অপারেশনের মাধ্যমে হার্নিয়া ঠিক না করলে ক্রমে হার্নিয়া বড় হতে থাকে। বড় হার্নিয়া চারপাশের টিস্যুর ওপর চাপ প্রয়োগ করে-পুরুষের ক্ষেত্রে হার্নিয়ার সবচেয়ে মারাত্মক জটিলতা হলো যখন অন্ত্রের অংশ পেটের দেয়ালের দুর্বল জায়গায় আটকে যায়। এ সময়ে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, বমি বমি ভাব ও বমি হয় এবং পায়খানা বন্ধ হয়ে যায়, কিংবা বায়ু চলাচল করতে পারে না। এ ক্ষেত্রে অন্ত্রের আটকে পড়া অংশে রক্ত চলাচল কমে যায়-এ অবস্থাকে বলে স্ট্রাংগুলেশন-যার কারণে আক্রান্ত অন্ত্রের টিস্যুর মৃত্যু ঘটতে পারে। স্ট্রাংগুলেটেড হার্নিয়া একটি জীবন-মরণ সমস্যা। 


চিকিৎসা:-

যদি হার্নিয়া ছোট থাকে এবং কোনো সমস্যা সৃষ্টি না করে তাহলে চিকিৎসকরা অনেক সময পর্যবেক্ষণ করার কথা ও অপেক্ষা করা কথা বলেন। কিন্তু হার্নিয়া যদি বড় হতে থাকে এবং ব্যথা হয় তাহলে অস্বস্তি দূর করতে ও মারাত্মক জটিলতা প্রতিরোধ করতে চিকিৎসকরা সাধারণত অপারেশন করে থাকেন।


প্রতিরোধ:-

জন্মগত ত্রুটির কারণে হার্নিয়া হলে তা প্রতিরোধ করা যায় না, চিকিৎসা করতে হয়। কিছু পরামর্শগুলো মেনে চললে পেটের মাংসপেশি ও টিস্যু বা কালার টান কমাতে পারা যায়।


স্বাস্থ্যকর ওজন রাখাঃ-যদি স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে বেশি থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ব্যায়াম ও খাদ্যগ্রহণ করা।

উচ্চ আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য ও টানটান অবস্থা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

ভারী বস্তু উত্তোলনে সতর্ক হতে হবে। পারত পক্ষে ভারী বস্তু উত্তোলন করা যাবে না, যদি একান্তই উত্তোলন করতে হয় তাহলে সর্বদা হাঁটু ভাঁজ করে শুরু করতে হবে, কখনো কোমর বাঁকানো যাবে না।ধূমপান বন্ধ করতে হবে। ধূমপান মারাত্মক রোগ যেমন ক্যান্সার, এমফাইসেমা ও হ্নদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এ ছাড়া ধূমপান সচরাচর দীর্ঘস্থায়ী কাশির সৃষ্টি করে, যা ইনগুইনাল হার্নিয়া সৃষ্টিতে উৎসাহ জোগায়।

অতিরিক্ত হাটা ও দৌড়া দৌড়ি এমনকি প্রত্যাহিক ব্যায়াম থেকে বিরত থাকুন।

📘📘📘📘📘📘📘📘📘📘📘📘📘📘

হোমিওপ্যাথিক প্রতিবিধান:-

রবিন মার্ফি'র রেপার্টরী হার্নিয়া আরোগ্য

সহায়ক ওষুধসমূহের নাম তুলে ধরা হল:-


📓১ম গ্রেডঃ লাইকোপোডিয়াম, নাক্স ভম।


📓২য় গ্রেডঃ এলিয়াম সেপা, এলোমিনা, এপিস

মেল, অ্যাসারাম, অরাম, ক্যাল্কেরিয়া কার্ব,

ক্যার্বো এনি, কার্বো ভেজ, ককোলাস,

কফিয়া, ডিজিটালিস, ম্যাগ কার্ব, ম্যাগ

এসিড, নাইট্রিক এসিড, অপিয়াম, রাস টক্স,

সাইলিসিয়া, স্পাইজেলিয়া, এসিড সালফ,

সালফার, ভেরেট্রাম, জিঙ্ক।


📓৩য় গ্রেডঃ ইস্কিউলাস হিপ, এমোন কার্ব,

বার্বারিস, ক্যাল্কেরিয়া আর্স,

ক্যাপসিকাম, ক্যামোমিলা, কলোসিন্থ,

ল্যাকেসিস, ম্যাগ মিউর, মিলিফোলিয়াম,

পেট্রোলিয়াম, ফসফরাস, সোরিনাম,

সারসাপেরিলা, স্ট্যাফিস্যাগ্রিয়া,

টেলুরিয়াম, থোজা।


📁লাইকোপোডিয়াম :-লাইকোপোডিয়ামের দৃষ্টি আকর্শনীয় লক্ষণ সমষ্টিসহ ডান দিকের হার্নিয়ায় ইহা ভাল কাজ করে।রোগির পেটে বায়ু জমিয়া পেট ফুলিয়া থাকে।ভুট ভাট করে,মাঝে মাঝে খোচা দেওয়ার মত ব্যাথা,পেট ডাকে।


📁নাক্স ভূমি- কোষ্ঠবদ্ধ ধাতুর রোগী,নাক্সভুমিকার লক্ষণ সমষ্টি সহ বাম দিকে হার্নিয়া (অন্ত্র বৃদ্ধিতে )নাক্স ভুমিকা উপকারী।


📁বায়োকেমিক চিকিৎসা :-

ক্যালকেরিয়া ফ্লোর :-হার্নিয়া রোগের প্রধান ঔষধ।নতুন বা পুরাতন উভয় প্রকার হার্নিয়াতে ইহা ব্যবহার যোগ্য কিংবা কোন হোমিওপ্যাথিক

রিমেডির সাথে সেবনে চমৎকার ফলাফল পাওয়া যায়। 


⭕🌿🌳🍀🌲⭕🌿🌳🍀⭕🌿🌳🍀⭕

হোমিওপ্যাথিক টিপস অল্প সময়ে অধিক গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করায় ফেসবুক কতৃপক্ষ সম্ভবত অনেক পোস্ট স্পামবক্সে ফেলে দিয়ে বুস্ট করার জন্য বার বার রিমান্ডার দিচ্ছে।

এটি একটি পরামর্শ ও সচেতনতামূলক পেজ।বুস্ট করে জনপ্রিয়তা অর্জনের কোন কার্যক্রম গ্রহন করার মানষিকতা এডমিনের নেই।আর তাছাড়া দর্শক প্রিয়তার চেয়ে বড় বুস্ট আর নেই।

তাই বেশি বেশি লাইক ও শেয়ার করুন যাতে পরবর্তী লেখার অনুপ্রেরনা পাই আর আপনার মাধ্যমে যেন অন্য কেউ উপকার পায়।অন্যথায় হয়তো লেখার মানষিকতা হারিয়ে যাবে।যে কোন পরামর্শের জন্য যে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন।সবার জন্য শুভকামনা রইল।

  

ডাঃ মোঃ ফরহাদ হোসেন

D.H.M.S(B.H.B),DHAKA

কনসালট্যান্ট 

হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন

germanhomoeocare.blogspot.com

হোমিওপ্যাথিক টিপস

HELPLINE 01955507911

No comments:

Post a Comment