তলপেটের ব্যথায় কার্যকরী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

তলপেটে ব্যথার কারন,লক্ষন ও হোমিওপ্যাথিক নির্দেশনা।

🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁

নারী দেহের প্রজননতন্ত্রের বা তলপেটের মারাত্মক প্রদাহের মধ্যে পিআইডি বা পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ অন্যতম৷ অধিকাংশ মহিলাই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন কষ্টে ভুগে থাকেন৷ এই প্রদাহ দুরকম হতে পারে-


জনন অঙ্গের নিচের দিকের প্রদাহ।

জনন অঙ্গের উপরের দিকের প্রদাহ৷

 


মেয়েদের তলপেটের মারাত্মক প্রদাহের কারণ:-


এ রোগের অনেকগুলো কারণের মধ্যে যৌনরোগ যেমন - গণোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য৷ স্বামীর যদি যৌনরোগ থাকে তাহলেও হতে পারে৷ শতকরা ৬০-৭০ ভাগ ক্ষেত্রে পিআইডি যৌন রোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত৷

জনন অঙ্গে যক্ষ্মার জীবাণুর সংক্রমণেও পিআইডি হতে পারে৷

মদ্যপান, ড্রাগ আসক্তি, একাধিক যৌনসঙ্গীর কারণে পিআইডি হয়ে থাকে৷

অন্যান্য কারণের মধ্যে-

 - অল্প বয়সে যৌনজীবন শুরু,


 - মাসিকের সময় সহবাস,


 - অস্বাস্থ্যকর ও অদক্ষভাবে গর্ভপাত করা এবং ডেলিভারি করানো,

  - ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার না করা,


 - স্ত্রী জনন অঙ্গের কোনও অপারেশনের পর, লুপ বা কপারটি পরাবার পর এই প্রদাহ হতে পারে৷


সাধারণত ১৪-২৫ বৎসর বয়সের মহিলারা পিআইডিতে বেশি আক্রান্ত হয়৷ অশিক্ষিত, দরিদ্র মহিলাদের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ বেশি কারণ তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা খুবই কম৷ 



রোগের লক্ষণ:-


তলপেটের মারাত্মক প্রদাহের লক্ষণসমূহ -


তলপেটে তীব্র ব্যথা হওয়া৷ এই ব্যথা কোমরে এবং বাহুতে বিস্তার করতে পারে৷

তলপেটে ভারি অনুভব করা।

সহবাসে এবং জরায়ু ও জরায়ুমুখ স্পর্শ করলে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করা৷

যোনিপথে দুর্গন্ধযুক্ত সাদাস্রাব বা পুঁজ নির্গত হওয়া।

প্রস্রাব করার সময় ব্যথা, জ্বালা-যন্ত্রণা করতে থাকে৷

মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে৷

শরীরে সব সময় জ্বর থাকতে পারে৷

মাথাব্যথা, বমি ভাব, পেট ফাঁপা হতে পারে৷

খেতে অরুচি এবং স্বাস্থ্য ক্ষীণ হয়ে যেতে পারে৷


প্রতিরোধ ব্যবস্থা:-


তলপেটের মারাত্মক প্রদাহ বা পিআইডি রোগীর উপযুক্ত চিকিৎসা করা না হলে পরবর্তীতে বন্ধ্যাত্ব এবং অন্যান্য জটিলতা দেখা দেয়৷ সেজন্য যৌন রোগগুলির প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা দিলে পিআইডি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব৷ বাচ্চা হওয়ার পর বা গর্ভপাতের পর বিশেষ পরিচ্ছন্নতা দরকার৷ মাসিকের সময় কাপড় বা ন্যাপকিন যাই ব্যবহার করা হোক না কেন তা অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে৷ একবার ব্যবহার করা জিনিস কখনই দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা যাবে না৷ প্রতিবার বাথরুমে যাওয়ার পর যৌনাঙ্গ ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে৷ ঝুঁকিপূর্ণ সহবাসে কনডম ব্যবহার করতে হবে৷ মনে রাখতে হবে, কনডম যৌন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে৷


হোমিওপ্যাথিক নির্দেশনা:-হোমিওপ্যাথি হচ্ছে একটি লক্ষন ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি।

Natural & alternative treatment.

সো রোগীর সামগ্রিক লক্ষন বিবেচনায় নিম্নোক্ত রিমেডিগুলো থেকে একটি সিলেকশান করে নিয়মিত সেবন করলে রোগমুক্তি সম্ভব

🍀NUX VOM

🍀SEPIA

🍀BRYONIA

🍀JONOSIA ASOKA

🍀CARBO VEG

🍀PULSATILLA

🍀MAG PHOS

🍀KALI PHOS

🍀FERRUM PHOS


এখানে শুধু কমন কিছু রিমেডির নাম দেওয়া হয়েছে এছাড়াও লক্ষন সদৃশ অন্য রেমিডি সঠিক সিলেকশান হলে ভাল কাজ করবে।

⭕🌿🌳🍀🌲⭕🌿🌳🍀⭕🌿🌳🍀⭕

হোমিওপ্যাথিক টিপস অল্প সময়ে অধিক গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করায় ফেসবুক কতৃপক্ষ সম্ভবত অনেক পোস্ট স্পামবক্সে ফেলে দিয়ে বুস্ট করার জন্য বার বার রিমান্ডার দিচ্ছে।

এটি একটি পরামর্শ ও সচেতনতামূলক পেজ।বুস্ট করে জনপ্রিয়তা অর্জনের কোন কার্যক্রম গ্রহন করার মানষিকতা এডমিনের নেই।আর তাছাড়া দর্শক প্রিয়তার চেয়ে বড় বুস্ট আর নেই।

তাই বেশি বেশি লাইক ও শেয়ার করুন যাতে পরবর্তী লেখার অনুপ্রেরনা পাই আর আপনার মাধ্যমে যেন অন্য কেউ উপকার পায়।অন্যথায় হয়তো লেখার মানষিকতা হারিয়ে যাবে।যে কোন পরামর্শের জন্য যে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন।সবার জন্য শুভকামনা রইল।

  

📗হোমিওপ্যাথিক টিপস

🌿germanhomoeocare.blogspot.com

☎হেল্পলাইন 🏪01955507911

No comments:

Post a Comment