শীত কালীন পা ফাটা দূর করতে হোমিওপ্যাথি।

📝চারিদিকে জমকালো শীত চলছে।শুষ্ক হচ্ছে আমাদের স্কীন। শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়, ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। পায়ের ত্বকের নিচের স্তরে চিড় ধরে ও ফেটে যায়। এ কারণে ব্যথা করে, জ্বালা করে, হাঁটতে সমস্যা হয়। কখনো তাতে সংক্রমণও হতে পারে। কিছু রোগের কারণে পা ফাটার প্রবণতা বেশি দেখা দেয়। যেমন: অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের সমস্যা, সোরিয়াসিস, একজিমা, ছত্রাক সংক্রমণ ইত্যাদি। স্থূল ব্যক্তিদেরও পা বেশি ফাটে। এ ছাড়া খুব ঠান্ডা শুষ্ক আবহাওয়া, খোলা জুতা বা স্যান্ডেল, জুতোর পেছন দিকে ঘর্ষণ, জুতা ঠিকমতো ফিট না করা ইত্যাদি এই সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।


📕চর্মরোগ অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতার একটি অন্যতম প্রধান কারণ। কম-বেশি ভুগতে হয় সবাইকে। আর অনেক সময়ই কী করতে হবে সেটা না জানার কারণে দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভুগতে হয়।

মাঝে মাঝে ত্বকে মাকড়সার জালের মতো কৈশিক নালী ফুটে ওঠতে দেখা যায়। বিশেষ করে পা, মুখের ত্বক ইত্যাদি সংবেদনশীল ত্বকে এই সমস্যা দেখা যায়। 

আমাদের মুখের ত্বকে অনেক তৈল গ্রন্থি রয়েছে। আর বয়ঃসন্ধির সময়ে ত্বকে তেলের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর সেখান থেকে হয় ব্রণ। লোমক‚পে তেল বেড়ে গেলে সেখানে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। ত্বকে ছোট ছোট লালচে গোটা বা ব্রণ হয়। লোমক‚প বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ত্বকে ব্রণ হতে পারে।

অনেকে ব্রণ হলে সেটি নিয়ে বেশি চাপাচাপি করে থাকেন। ফলে ত্বকে বা চর্মে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। তাই ব্রণ হলে হাত না লাগানোই ভালো। তাছাড়া অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে। দিনে দুইবার ত্বক পরিষ্কারের জন্য হালকা ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।


পা ফাটর কারন(Causes of Cracked Heel)


নিন্মক্ত কারন গুলি প্রধানঃ-

______________________


শুষ্ক জলবায়ুযুক্ত স্থানে বসবাস (Cold winter weather)

স্থুলতা বা মুটিয়ে যাওয়া (Excess weight)

 খালি পায়ে দীর্ঘক্ষন হাটা

গোড়ালী খোলা জুতা পরা

কিডনী সমস্যা (Kidney disease)

থাইর‍্যেড সমস্যা (Thyroid disease)

ভিটামিনের অভাব (Vitamin deficiency)

ডায়াবেটিস (Diabetes)

খনিজের অভাব

বংশগত (Genetics)

নিষ্ক্রিয় ঘর্মগ্রন্থি

দীর্ঘ সময় ধুলা ময়লায় কাজ।

উল্লেখ্য, অন্য অনেক সমস্যার মত পা ফাটাও চিকিৎসা না করে ফেলে রাখলে বিপজ্জনক হয়ে যেতে পারে যদি ও গুলো সংক্রমিত হয়ে যায়। যাদের ডায়াবেটিকস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এটি বিশেষ বিপজনক।


পা ফাটার লক্ষণ সমূহ(Symptoms of cracked heel)


মূলত যে করুনগুলো লক্ষনীয়:-

_________________________


পায়ের গোড়ালীর চারপাশের চামড়া শুষ্ক হয়ে যায়।

চামড়া পুরু শক্ত ও রুক্ষ হয়ে যায়।

শুষ্কতর কারনে পা চুলকায়।

গোড়ালীর চামড়া ফাটা ভাব হয়।

ছোট ছোট চামড়ার টুকরা উঠে আসে।

পা ফাটা গভীর হলে প্রদাহ দেখা দিতে পারে'

খুব ব্যাথা হয়, হাটতে কষ্ট হয়।

অনেক সময় পা ফেটে রক্তপাত হয়।


কী করবেন না?

____________


• অতিরিক্ত গরম পানি ত্বক আরও শুষ্ক করে দেয়। গোসলে বা পা পরিষ্কার করতে হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। বেশি সময় ধরে পা পানিতে ডুবিয়ে রাখাও ভালো নয়। শীতকালে গোসল সারতেও খুব বেশি হলে ৫ থেকে ১০ মিনিট সময় নিন।


• অতিরিক্ত ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার, অতিরিক্ত ঘষাঘষি ত্বকের শুষ্কতা বাড়িয়ে দেবে।


• খালি পায়ে হাঁটবেন না। ঠান্ডা বাতাসে বের হলে খোলা জুতা বা স্যান্ডেল না পরে এ সময় বন্ধ জুতো পরুন।


• পায়ের মরা চামড়া ওঠাতে নিজে নিজে কখনো ধারালো কিছু ব্যবহার করবেন না। ঝামা পাথর দিয়ে বেশি ঘষতে গেলে ত্বক কেটে যেতে পারে। 

• পা পেটে রক্ত বের হলে বা সংক্রমণ হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই ভালো।


হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

Homeopathic Treatment:-

====================স্কীন ডিজিজের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি অত্যান্ত কার্যকরী।তবে

হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। লক্ষণ সাদৃশ্যে নিন্মক্ত ঔষধ গুলো ব্যবহার করা হয়


 


পেট্রলিয়াম(Petroleum)

নির্দেশক লক্ষণাবলী-

>>>>>>>>>>>>>>>


 শীতের দিনে ভীষন ভাবে হাত-পা ফাটা।

ফাটা অনেক গভীর ও রক্তপাত হয়। 

 ফাটা স্থান খুব ব্যাথা হয় ও চুলকায়

পদতলে প্রচুর দূর্গন্ধ যুক্ত ঘাম হয়।

শীত কালে চর্মপীড়ার বৃদ্ধি।

পেট্রলের ধোয়ার গন্ধ ভাল লাগে।

শীতকালীন পা ফাটার একটি চমৎকার ঔষধ পেট্রলিয়াম


গ্রাফাইটিস( Graphitis):-

 নির্দেশক লক্ষণাবলী-

>>>>>>>>>>>>>>


ধাতুগত বৈশিষ্ট হল- মোটা চটা ফাটা (Fair, Flabby, Fatty)

 পায়ের গোড়ালী ফেটে যায়।

চটচটে আঠালো রস নির্গত হয়।

শরীরে ঘাম কম।

ফেটে যাওয়া জায়গা চুলকায় ও ব্যাথা হয়।

শীতকালে রোগ লক্ষণ বাড়ে।


সালফার( Sulfur):-

নির্দেশক লক্ষণাবলী

>>>>>>>>>>>>>


 গাত্র চর্ম নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন।

হাত পা ও মাথার তালু ব্জালা।

চর্মরোগ প্রবন শরীর।

গোসলে রোগ লক্ষণ বাড়ে।

পায়ের ফাটা জায়গা খুব চুলকায়।

অনেক সময় রক্তপাত হয়।

রোগী গরম কাতর।


 গাত্র চর্ম নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন।

হাত পা ও মাথার তালু ব্জালা।

চর্মরোগ প্রবন শরীর।

গোসলে রোগ লক্ষণ বাড়ে।

পায়ের ফাটা জায়গা খুব চুলকায়।

অনেক সময় রক্তপাত হয়।

রোগী গরম কাতর।


নোটঃ রোগীর লক্ষন মিলে যদি

একটি ঔষধেই হবে মুক্তি

সেটাই প্রকৃত হোমিওপ্যাথি 


🌿--------------------------------------------🌿

সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা

ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা  উচিত নয়।


ডাঃ মোঃ ফরহাদ হোসেন

D.H.M.S(B.H.B),DHAKA

কনসালট্যান্ট 

হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন


📗হোমিওপ্যাথিক টিপস

🌿germanhomoeocare.blogspot.com

☎হেল্পলাইন 🏪01955507911

No comments:

Post a Comment